Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

আরও চাপে আপের বিদ্রোহী শিবির

আম আদমি পার্টির (আপ) অন্দরে আরও চাপে পড়লেন প্রশান্ত ভূষণ, যোগেন্দ্র যাদবেরা। জাতীয় কর্মসমিতির পরে আজ দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি থেকে ভূষণকে সরিয়ে দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে দলের অভ্যন্তরীণ লোকপালের পদ থেকে সরানো হয়েছে প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান রামদাসকে। রাজনীতিকদের মতে, প্রশান্ত-যোগেন্দ্রদের চাপে ফেলে ইস্তফা দিতে বাধ্য করতে চান অরবিন্দ কেজরীবাল।

প্রশান্ত ভূষণ

প্রশান্ত ভূষণ

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৫ ০৩:১৯
Share: Save:

আম আদমি পার্টির (আপ) অন্দরে আরও চাপে পড়লেন প্রশান্ত ভূষণ, যোগেন্দ্র যাদবেরা। জাতীয় কর্মসমিতির পরে আজ দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি থেকে ভূষণকে সরিয়ে দিয়েছেন শীর্ষ নেতৃত্ব। সেইসঙ্গে দলের অভ্যন্তরীণ লোকপালের পদ থেকে সরানো হয়েছে প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান রামদাসকে। রাজনীতিকদের মতে, প্রশান্ত-যোগেন্দ্রদের চাপে ফেলে ইস্তফা দিতে বাধ্য করতে চান অরবিন্দ কেজরীবাল।

শনিবার আপের জাতীয় পরিষদের বৈঠকে কার্যত সম্মুখসমর হয় কেজরীবাল ও প্রশান্ত-যোগেন্দ্রদের। এক মাস ধরে চলতে থাকা বিতর্কের ফলে তৈরি তিক্ততা উগরে দেয় দুই শিবিরই। পরে ভোটাভুটিতে জাতীয় কর্মসমিতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় যোগেন্দ্র ও প্রশান্তকে। তবে সেই ভোটাভুটি নিয়ম মেনে হয়নি বলে দাবি কেজরীবাল-বিরোধী শিবিরের। প্রয়োজনে আদালতে যাওয়ার বা নয়া দল তৈরির হুমকি দিয়েছেন প্রশান্ত, যোগেন্দ্র ও তাঁদের সমর্থকেরা।

আজ দলের জাতীয় সম্পাদক পঙ্কজ গুপ্ত জানান, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি থেকে প্রশান্তকে সরিয়ে দীনেশ বাঘেলার নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটিকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভ্যন্তরীণ লোকপাল পদের দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান রামদাসের সঙ্গেও কেজরীবালের কিছু দিন ধরে মন কষাকষি চলছিল। শনিবার জাতীয় পরিষদের বৈঠকে ‘মতান্তর’ এড়াতে রামদাসকে আসতে নিষেধ করেছিলেন পঙ্কজ গুপ্ত। তখনও নিজের ক্ষোভ প্রকাশ্যেই জানিয়েছিলেন রামদাস। আজ তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কেজরীবালের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানিয়ে একটি চিঠি প্রকাশ করেছিলেন প্রশান্ত ও যোগেন্দ্র। আজ শনিবারের জাতীয় পরিষদ বৈঠকে কেজরীবালের বক্তৃতার ভিডিও প্রকাশ করে তার জবাব দিয়েছেন আপ শীর্ষ নেতৃত্ব। ওই বক্তৃতায় চাঁচাছোলা ভাষায় প্রশান্তদের আক্রমণ করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, গোটা দিল্লি যখন আপের পিছনে এসে দাঁড়িয়েছিল তখন কিছু মিত্র তাঁদের পিছন থেকে ছুরি মারার চেষ্টা করেছিলেন।

কেজরীবালের কথায়, “দিল্লি ভোটে আমাদের হারাতে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। আপ ভলান্টিয়ার মঞ্চ গড়ে তাকে সমর্থন করা হয়েছিল। ওই মঞ্চের সদস্যেরা প্রাক্তন বিজেপি সদস্য। মঞ্চকে বিজেপি টাকা জোগাচ্ছিল।” কেজরীবালের দাবি, প্রশান্ত বলে বেড়িয়েছিলেন, দল ভোটে হারলে তবে কেজরীবাল শিক্ষা পাবেন। যোগেন্দ্র তাঁর বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে ভুল খবর ছড়িয়েছেন। অনেক আপ স্বেচ্ছাসেবককে দিল্লিতে আসতে দেওয়া হয়নি।

এর পরেই কেজরীবাল জানিয়ে দেন, তিনি সরে দাঁড়াতে তৈরি। দলীয় সূত্রের মতে, চিত্রনাট্য মেনেই এ কথা বলেছিলেন আপ নেতা। কারণ, এর পরে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন নিয়ে প্রশান্ত ও যোগেন্দ্রকে কর্মসমিতি থেকে সরানোর বিষয়ে নিশ্চিত ছিলেন তাঁর সহযোগীরা।

আপে আর কত দিন থাকেন দুই বিদ্রোহী নেতা, সেটাই এখন দেখার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE