Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
National News

রাম রহিমের ক্যাম্পাসে পুঁতে রাখা হয়েছে অনেক দেহাবশেষ! জানাল ডেরাই

অনেককে খুন করে পুঁতে রাখা হয়েছে ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতরের ভিতরে। দাবি কিছু প্রাক্তন ডেরা অনুগামীর। কিন্তু ডেরার তরফে জানানো হয়েছে, ভক্তরা নিজেরাই দেহাবশেষ দান করেছিলেন ডেরাকে।

ডেরা সদর দফতরের সুবিশাল চত্বরের অন্দরে আর কত রহস্য লুকিয়ে রয়েছে? প্রশ্ন এখন গোটা দেশে। ছবি: পিটিআই।

ডেরা সদর দফতরের সুবিশাল চত্বরের অন্দরে আর কত রহস্য লুকিয়ে রয়েছে? প্রশ্ন এখন গোটা দেশে। ছবি: পিটিআই।

সংবাদ সংস্থা
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৫:১৫
Share: Save:

আরও বড় কেলেঙ্কারির আভাস ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতরের ভিতর থেকে। ৬০০ একরের সুবিশাল ক্যাম্পাসের অন্দরে বহু দেহাবশেষ পুঁতে রাখা হয়েছে, এমন জল্পনা ছড়াচ্ছিল গত কয়েক দিন ধরেই। এ বার ডেরার মুখপত্র ‘সচ কহুঁ’-তেও স্বীকার করা হল সে কথা। সিরসায় ডেরা সদর দফতর চত্বরে অনেক ভক্তের দেহাবশেষই পুঁতে রাখা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ‘সচ কহুঁ’-তে লেখা হয়েছে। তবে সেই সব সমাধি নিয়ে জল্পনার কোনও কারণ নেই বলে পত্রিকাটির দাবি। অনুগামীরা বাবা রাম রহিমের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদের দেহাবশেষ দান করে গিয়েছিলেন বলে লেখা হয়েছে ডেরা মুখপত্রে।

‘সচ কহুঁ’-তে জানানো হয়েছে, মৃত্যুর পর দেহাবশেষ নদীতে ভাসালে পরিবেশ দূষণ হয়। তাই দেহাবশেষ ডেরাকে দান করে দেওয়ার জন্য ভক্তদের উৎসাহিত করতেন বাবা রাম রহিম। ভক্তদের দেহাবশেষ ডেরা চত্বরে সমাহিত করে তার উপরে গাছ পুঁতে দেওয়া হত বলেও সংগঠনটির কাগজে লেখা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ডেরায় কম্যান্ডো তল্লাশি, প্রচুর টাকা, নথি, অস্ত্র বাজেয়াপ্ত

জল্পনা অবশ্য অন্য রকম। ডেরা প্রধান রাম রহিম অনেককে খুন করিয়েছিলেন এবং তাঁদের দেহই ডেরা চত্বরে পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ অনেকের। এক সময়ে ডেরা সচ্চা সৌদার অনুগামী ছিলেন, কিন্তু পরে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন, এমন বেশ কয়েক জন সম্প্রতি এই অভিযোগ তুলেছেন। তার পর থেকেই নতুন কেলেঙ্কারির আভাস মিলতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: স্কুলের শৌচালয়ে ক্লাস টু’র ছাত্রের গলাকাটা দেহ

রাম রহিম ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলে যাওয়ার পর থেকেই যে ভাবে ডেরা সম্পর্কে নানা রকম চাঞ্চল্যকর তথ্য বাইরে আসতে শুরু করেছে, তার সত্যতা খতিয়ে দেখতে হরিয়ানা সরকার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। ডেরা সচ্চা সৌদার সদর দফতরের ভিতরে পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি চালানোর অনুমতি চাওয়া হয়। আদালত মঙ্গলবার সেই অনুমতি দেয়। বুধবার থেকে সিরসায় ডেরা সদর দফতর ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালত নিযুক্ত কমিশনারের তত্ত্বাবধানে আজ থেকে যে তল্লাশি শুরু হবে, তা আগেই জানা গিয়েছিল। তল্লাশি শুরুর ঠিক আগের দিনই ডেরার সংবাদপত্রে স্বীকার করা হল, ডেরা চত্বরে অনেক দেহাবশেষ পুঁতে রাখা রয়েছে। কিন্তু তা নিয়ে নেতিবাচক জল্পনার কোনও কারণ যে নেই, তাও প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা হল ‘সচ কহুঁ’-তে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE