Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

জনগণমনে সিন্ধু সরিয়ে উত্তর-পূর্ব! সংসদে বিল

পরে রাজ্যসভার বাইরে রিপুন দাবি করেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন গানটি লিখেছিলেন তখন সিন্ধ অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল। এখন তা শত্রু দেশে।

কংগ্রেসের সাংসদ রিপুন বরা।

কংগ্রেসের সাংসদ রিপুন বরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ০৩:০২
Share: Save:

ফের জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিতর্ক। এ বার জাতীয় সঙ্গীতে ‘জনগণমন’ থেকে ‘সিন্ধু’ শব্দটি বাদ দিয়ে ‘উত্তর-পূর্ব’ বা দেশের এই অংশের পরিচয় বহন করে এমন কোনও শব্দ ঢোকানোর দাবি তুললেন কংগ্রেসের সাংসদ রিপুন বরা। অসম থেকে রাজ্যসভায় গিয়েছেন তিনি। আজ ‘প্রাইভেট মেম্বার’-এর প্রস্তাব হিসেবে বিষয়টি কার্যসূচির তালিকাভুক্ত করা হলেও, অধিবেশন মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় এ নিয়ে অবশ্য আর কোনও আলোচনা হয়নি।

পরে রাজ্যসভার বাইরে রিপুন দাবি করেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যখন গানটি লিখেছিলেন তখন সিন্ধ অবিভক্ত ভারতের অংশ ছিল। এখন তা শত্রু দেশে। ফলে সিন্ধু শব্দটি বাদ উত্তর-পূর্ব শব্দটি যোগ করা হোক। রিপুনের কথায়, ‘‘উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এতে ওই এলাকার মানুষের মনে যে বিচ্ছিন্নতাবোধ আছে তা অনেকাংশে দূর হবে।’’

জাতীয় সঙ্গীত থেকে ‘সিন্ধু’ শব্দটি বাদ দেওয়ার দাবি অবশ্য নতুন নয়। ২০১৬ সালে শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাবন্ত কংগ্রেস সাংসদ রিপুন বরার মতো প্রায় একই ভাবে ‘সিন্ধু’ সরিয়ে অন্য কোনও রাজ্যের নাম জোড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

আজ রিপুনের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন বিশ্ব সিন্ধি ফোরামের প্রধান লাখুয়া লুহানা। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেছেন, ‘‘হিন্দ বা হিন্দুস্তান শব্দটি এসেছে সিন্ধ শব্দটি থেকে। ভারত উপমহাদেশের ধারণাটির পিছনে রয়েছে প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ইতিহাস সম্পর্কে গভীর পড়াশুনো থাকার কারণে তিনি চিন্তাভাবনা করেই ওই শব্দটি যোগ করেছিলেন।

লাখুয়া আরও দাবি করেছেন, সিন্ধ এখন পাকিস্তানের অন্তর্গত হলেও, এ দেশের অধিকাংশ সিন্ধি সমাজের মানুষ পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও একাত্মবোধ করেন না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE