প্রতীকী ছবি।
পুরনো নোট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার বিষয়ে আরও এক দফা বিধিনিষেধ আরোপ করল সরকার। বাতিল হয়ে যাওয়া ৫০০ টাকা আর ১০০০ টাকার নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য আর ১১ দিন সময় রয়েছে। এই ১১ দিনের মধ্যে বাতিল নোটে ৫০০০ টাকার বেশি জমা করার সুযোগ মাত্র এক বারই পাওয়া যাবে। নতুন এক নির্দেশিকায় এমনই জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রক। যে সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কেওয়াইসি সম্বলিত নয়, সে সব অ্যাকাউন্টে ৫০০০ টাকার বেশি জমা নেওয়াই হবে না। অর্থ মন্ত্রক নতুন নির্দেশিকায় এমনই জানিয়েছে।
সোমবারই নতুন নির্দেশিকাটি জারি হয়েছে। পুরনো নোট ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য আর যেটুকু সময় পড়ে আছে, তার মধ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা যাতে কেউ ব্যাঙ্কে জমা দিতে না পারেন, মূলত তার ব্যবস্থাই করা হয়েছে এই নির্দেশিকায়। নতুন এই নির্দেশিকার মূল কথা এ রকম:
১. আজ থেকে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে কেউ নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যদি বাতিল নোট জমা করেন, তা হলে ৫০০০ টাকার কম অঙ্কের টাকা জমা করাই শ্রেয়।
২. ৫০০০ টাকা বা তার বেশি অঙ্কের বাতিল নোট যদি কেউ জমা করেন, তা হলে ওই এক বারই টাকা জমা দিতে পারবেন।
৩. যাঁরা ৫০০০ টাকার বেশি অঙ্কের বাতিল নোট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেবেন, তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কেওয়াইসি সম্বলিত হতেই হবে। না হলে টাকা জমা নেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: কালো টাকার পাহাড়ে দর্জি, চা-ওয়ালারা
৪. বাতিল নোটে ৫০০০ টাকার বেশি জমা দেওয়া হলে, গ্রাহককে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে জানাতে হবে, কেন এই বাতিল নোট তিনি এত দিন জমা দেননি। অন্তত দু’জন ব্যাঙ্ক কর্তার সামনে তাঁকে উপযুক্ত প্রমাণ দেখিয়ে জানাতে হবে, কোন সমস্যার কারণে এত দিন টাকা জমা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব হয়নি।
৫. যাঁরা ৫০০০ টাকার বেশি অঙ্কের পুরনো নোট আগামী দিনগুলিতে জমা করবেন, তাঁদের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রক বিশদে খোঁজখবর নেবে। আর্থিক অসঙ্গতি মিললে ৫০০০ টাকার অতিরিক্ত যে টাকা জমা হচ্ছে, সে টাকার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। কারণ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আজ থেকে ৩০ তারিখ পর্যন্ত বাতিল নোটে যাঁরা ৫০০০ টাকার বেশি ব্যাঙ্কে জমা দেবেন, তাঁদের ক্ষেত্রে জমাকৃত অঙ্কের ৫০০০ টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকার ভবিষ্যৎ কী, সে বিষয়ে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সিদ্ধান্ত নেবে।
অর্থ মন্ত্রক এই নতুন নির্দেশিকা জারি করার পর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে চিঠি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকার রূপায়ণে ব্যাঙ্কগুলিকে কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক চিঠিতে সে কথাই জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy