বিদেশি ভাষা শিক্ষায় আপত্তি নেই সঙ্ঘের। কিন্তু গোটা দেশে স্থানীয় ভারতীয় ভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা চালুর জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলির কাছে দাবি জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভা। এখনও যে সব ভারতীয় ভাষায় ইউপিএসসি বা এনইইটি-র মতো সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষা হয় না, সেগুলি অবিলম্বে শুরুর দাবি জানিয়েছে সঙ্ঘ।
নাগপুরে অখিল ভারতীয় প্রতিনিধি সভার তিন দিনের বৈঠক শেষ হওয়ার পরে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন আরও তিন বছরের জন্য সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়া সুরেশ ভাইয়াজি জোশী। তিনি ঘোষণা করেন, আদালতের রায়ের জন্য তাঁরা অপেক্ষা করবেন। কিন্তু রামের জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত ওই বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দিরই হবে। নরেন্দ্র মোদী সরকারের শ্রম ও কৃষি নীতি নিয়ে সমালোচনার সুর শোনা গিয়েছে ভাইয়াজির মুখে।
বৈঠকে একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, বিদেশি ভাষার বহুল ব্যবহারে দেশজ সংস্কৃতির বাহক ভারতীয় ভাষাগুলির অনেক উপভাষা ও বাগ্ধারা হারিয়ে গিয়েছে। তাই এগুলির যোগ্য সংরক্ষণ ও প্রসারে সরকারগুলিকে পদক্ষেপ করতে হবে। এ ছাড়া, সামাজিক, পারিবারিক এবং দৈনন্দিন কাজেও মাতৃভাষাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। আদালত ও প্রশাসনিক কাজেও ইংরেজির বদলে ভারতীয় ভাষা ব্যবহারে অগ্রাধিকার দিতে সওয়াল করে সঙ্ঘ। এমনকী, বেসরকারি সংস্থার কাজ, নিয়োগ এবং পদোন্নতিতেও স্থানীয় ভারতীয় ভাষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবি জানানো হয়। প্রস্তাবে এ কথাও বলা হয়েছে— মাতৃভাষার ওপর স্বাভিমান বজায় রেখে অন্য ভাষার প্রতি সম্মানের মনোভাব বজায় রাখতে হবে।
বৈঠকে সঙ্ঘের সাংগঠনিক নেতৃত্বে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। ভাইয়াজি জোশীকে সাহায্যের জন্য মনমোহন বৈদ্য ও মুকুন্দকেও সুরেশ সোনী, দত্তাত্রেয় হোসবোলে, কৃষ্ণগোপাল ও ভাগাইয়ার সঙ্গে সহ-সাধারণ সম্পাদক (সহ সরকার্যবাহ) পদে এনেছে প্রতিনিধি সভা। অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ নিযুক্ত করা হয়েছে অরুণ কুমারকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy