অনাহারে তাদের বাড়ির মেয়ের মৃত্যুর খবরে গ্রামের বদনাম হচ্ছে। এই অভিযোগে সিমডেগার কারিমাটি গ্রামের বাসিন্দা কোয়েলী দেবীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল। যদিও এখনও পর্যন্ত থানায় এই অভিযোগ লিখিতভাবে দায়ের করেননি কোয়েলী দেবী। তবে এই অভিযোগ আজ সকালে কানে আসার পরেই স্থানীয় থানার পক্ষ থেকে ওই পরিবারের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিমডেগার এসপি রাজীব রঞ্জন সিংহ।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সিমডেগার কারিমাটি গ্রামে এগারো বছরের বালিকা সন্তোষী কুমারীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর দিন কয়েক পরে অক্টোবর মাসের ৪ তারিখ নাগাদ স্থানীয় একটি সমাজসেবী সংস্থার মাধ্যমে সন্তোষীর মা কোয়েলী দেবী অভিযোগ করেন, না খেতে পেয়েই তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের বাড়িতে রেশন কার্ড থাকা সত্ত্বেও আধার ‘লিঙ্ক’ না থাকায় জুলাই মাস থেকে তাঁদের রেশন মিলছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর ফলে ওই হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদের কার্যত অনাহারেই দিন কাটাতে হয়েছে। অনাহার মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। জেলার ডিসি মঞ্জুনাথ ভজন্তি বলেন, “ওই বালিকার পরিবারে রেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঠিকই, তবে মৃত্যুর কারণ ম্যালেরিয়া।”
এই নিয়ে বিতর্ক চলছিলই। এরই মধ্যে গত কাল রাতে কোয়েলী দেবীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠায় ফের বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফ থেকে তারামনি সাহু বলেন, “আজ সকালে আমাদের কাছে তিনি অভিযোগ করেন, গ্রামের বদনাম করা হচ্ছে বলে তাঁদের বাড়িতে হামলা করেছে গ্রামবাসীদের একাংশ।’’
হামলার খবর পেয়ে আজ সকালেই জেলা প্রশাসনের কয়েক জন আধিকারিককে পাঠান ডিসি। তিনি বলেন, “ওই দল কোয়েলী দেবীর বাড়িতে হামলার কোনও চিহ্ন পায়নি। তবে আমরা তবে প্রয়োজনে অন্যত্র থাকার ব্যবস্থা আমরা করতে রাজি আছি। যদিও ওই পরিবার ওই গ্রামের ওই বাড়িতেই থাকবেন বলেছেন।”
তবে মৃত্যুর কারণ যাই হোক না কেন ওই হতদরিদ্র পরিবার যে দীর্ঘ দিন রেশন পাচ্ছিল না তা স্বীকার করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সরযু রাই। তিনি বলেন, “আধার লিঙ্ক না থাকার জন্যই ওদের রেশন কার্ড কম্পিউটার থেকে মুছে গিয়েছিল।’’ এখন অবশ্য ওই পরিবারের রেশন মিলছে বলে দাবি মন্ত্রীর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy