মহীশাসন রুটে আরও একটি ট্রেন আজ থেকে যাত্রা শুরু করল। ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাঁটাতার ঘেঁষা এই স্টেশনে এখন প্রতি দিন দু’জোড়া ট্রেন শিলচর থেকে যাতায়াত করছে। বাদ শুধু রবিবার। সে দিন করিমগঞ্জ-মহীশাসন রুটে কোনও ট্রেন চলছে না। নতুন আরও এক জোড়া ট্রেনের জেরে শিলচর-করিমগঞ্জের মধ্যে সকালে একটি ট্রেনের যে দাবি উঠেছিল, তা মিটবে বলে দাবি রেল সূত্রের।
শিলচরের স্টেশন ম্যানেজার বিপ্লব দাস জানিয়েছেন, এত দিন শুধু বিকেল ৩টে ২৫ মিনিটে শিলচর থেকে ট্রেন ছাড়ত মহীশাসনের দিকে। আজ থেকে নতুন ট্রেনটি যাচ্ছে সকাল ৬টায়। করিমগঞ্জ হয়ে অবশ্য শিলচর-আগরতলা ট্রেন প্রতি দিন সকাল ৮টায় রওনা হয়। যাত্রীদের চাহিদায় যেমন এই রুটে ট্রেন বাড়ানো হল, তেমনই যাত্রী মেলে না বলে জিরিবাম রুটে ট্রেন চলাচল এক দিন কমানো হয়েছে। তিন দিনের জায়গায় এখন তা চলবে শুধু সোম ও শুক্রবার। লক্ষ্মীপুর মহকুমার উপর দিয়ে মণিপুরের একমাত্র স্টেশন জিরিবামে যাতায়াত করলেও এই রুটে স্টেশনগুলি জনবহুল এলাকা থেকে অনেক দূরে। লক্ষ্মীপুর মহকুমার যে কোনও স্টেশনে যেতে যে পরিমাণ অটো ভাড়া লাগে, তার চেয়ে কম টাকায় সড়কপথে শিলচরে যাতায়াত সেরে নেওয়া যায়। তবে বিপ্লববাবু আশাবাদী, এই ট্রেনেরও চাহিদা বাড়বে। জিরিবাম থেকে টুপুল পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণের কাজ চলছে। পরে যাবে ইম্ফল পর্যন্ত। সে সময় মণিপুর এই রুটেই রেললাইনে বাইরের সঙ্গে যুক্ত হবে।
এ দিকে, দক্ষিণী ট্রেনের সংযোগ ঘটাতে শিলচর-গুয়াহাটি একটি বিশেষ ট্রেন চালানো হচ্ছে। তাতে বাতানুকূল ৩, স্লিপার ১৩, চেয়ার কার ১, সাধারণ ১ এবং এসএলআর ২টি কামরা থাকছে। সপ্তাহে শুধু শনিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে শিলচর থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। রেল সূত্রে খবর, ওই ট্রেনেও চাহিদামতো যাত্রী হচ্ছে না। পরীক্ষামূলক বা বিশেষ ট্রেন হওয়ায় যাত্রী না হওয়ার ব্যাপারটি সুখকর নয় বলেই জানান বিপ্লববাবু। তবে যাত্রীদের বক্তব্য, ট্রেনটি সুপারফাস্ট বলে ভাড়া অত্যন্ত বেশি। এ ছাড়া, দক্ষিণী সংযোগী না করে ট্রেনটিকে সরাসরি শিলচর পর্যন্ত চালালেই যাত্রী বেড়ে যাবে। সরাসরি চেন্নাই হয়ে তিরুবনন্তপুরম যাওয়ার ট্রেন পেলে এই অঞ্চলের মানুষেরও বিরাট উপকার হবে বলে অভিমত সকলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy