প্রতীকী ছবি।
এত দিন ছিল দেখা মাত্র গুলি নীতি। কিন্তু তাতে কাশ্মীরি যুবকদের জঙ্গি দলে নাম লেখানো কমছে না দেখে এ বার পুনর্বাসন নীতির মাধ্যমে সমস্যার মোকাবিলা করতে চাইছে কেন্দ্র ও জম্মু-কাশ্মীর সরকার। ইচ্ছুক জঙ্গিরা যাতে অস্ত্র ফেলে নিরাপদে পরিবারের কাছে ফিরে আসতে পারে সে জন্য একটি সার্বিক নীতি গ্রহণ করতে মেহবুবা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। এই খাতে যাবতীয় অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
সরকার যে এই নীতি সফল ভাবে প্রয়োগ করতে চাইছে তা প্রমাণ করতে গতকালের সেনা অভিযানে ধৃত দুই জঙ্গিকে আজ কাশ্মীরে সাংবাদিকদের সামনে নিয়ে আসা হয়। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের আইজি মুনির খানের দাবি, ‘‘ওই দু’জন ছাড়া আর এক জন জঙ্গি ধরা পড়েছে। তার পায়ে গুলি লেগেছে। সে এখন চিকিৎসাধীন।’’ মুনির খানের কথায়, ‘‘সরকার যে জঙ্গিদের দ্বিতীয় একটি সুযোগ দিতে চায় সেই বার্তা দেওয়ার জন্যই জঙ্গিদের সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। আমি আশা করব এই ছবি দেখে অন্য জঙ্গিদের পরিবারের সদস্যেরা তাদের অস্ত্রত্যাগ করতে বলবেন।’’
মুনির খানের কথার সূত্র ধরেই ছেলেকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জঙ্গি মজিদ খানের বাবা-মা। দ্বাদশ শ্রেণিতে রেকর্ড নম্বর পাওয়া তথা অনন্তনাগ জেলার অন্যতম সেরা গোলকিপার মাস কয়েক আগে মজিদ লস্কর-ই–তইবায় নাম লেখায়। তারপর থেকেই ফেরার সে। ছেলের চিন্তায় পিতা শয্যাশায়ী। এক ভিডিও বার্তায় মা আয়েশা খাতুনের কাতর আর্তি, ‘‘ফিরে আয়। ফিরে আয় আর আমাদের শেষ করে দে। তারপর আবার ফিরে যা। কার জন্য আমাদের রেখে গিয়েছিস। বাবার জন্য অন্তত ফিরে আয়।’’ এই ভিডিও এখন ভাইরাল হয়ে ঘুরছে গোটা উপত্যকায়। অস্ত্র ত্যাগ করার মজিদকে অনুরোধ করেছেন তার দুই দিদি-সহ অন্য আত্মীয়েরাও। আইজি মুনির খানও বলেছেন, ‘‘মজিদ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাইলে সরকার সব রকম সাহায্য করবে।’’
সূত্রের খবর, নীতিগত ভাবে ঠিক হয়েছে যারা সদ্য জঙ্গি দলে নাম লিখিয়েছে তারা যদি মূলস্রোতে ফিরতে চায় তবে সাহায্য করা হবে। জঙ্গিরা অস্ত্রত্যাগের পরে যাতে নিরাপদে পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারে সেটাও খেয়াল রাখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy