নিরাপত্তার দায়িত্ব যার, আবাসনের সেই নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধেই এক আবাসিককে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল! ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে গ্রেটার নয়ডার একটি আবাসনে। পুলিশ ওই নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত নিরাপত্তারক্ষী রাজ দুই সন্তানের বাবা। উত্তরপ্রদেশের হাতরসের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন তরুণী রাত ১০টা নাগাদ অফিস থেকে বাড়ি ফেরেন। আবাসনের ১৩ তলায় তাঁর ফ্ল্যাট। ভিতরে ঢুকলেও ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ করেননি তিনি। অভিযোগ, সে সময়ই অতর্কিতে ওই ফ্ল্যাটে ঢুকে পড়ে নিরাপত্তারক্ষী রাজ। ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। ওই তরুণী তখন বেডরুমে ছিলেন। আচমকা রাজকে বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে চমকে ওঠেন। তবে চিৎকার করার আগেই তাঁর মুখ চেপে ধরে তরুণীর সঙ্গে জোরজবরদস্তি করে। কোনওক্রমে রাজের হাতে কামড়ে দিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে ছুটে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে সাহায্যের জন্য চিৎকার জুড়ে দেন তিনি। কিন্তু ১৩ তলায় আর যে সমস্ত ফ্ল্যাট রয়েছে সেগুলোর দরজা আগেই বাইরে থেকে বন্ধ করে দিয়েছিল রাজ। ফলে তরুণীর চিৎকারে প্রতিবেশীদের কেউই বেরোতে পারেননি। শেষে নীচের তলা থেকে কয়েক জন বেরিয়ে এলে বেগতিক বুঝে রাজ চম্পট দেয়।
আরও পড়ুন: ‘গোমাংস খায়! বলেই ভাইকে মেরেই ফেলল’
পরে এক প্রতিবেশী বলেন, ‘‘দিদি বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল তরুণী। সাহায্যের জন্য দরজা খুলে বেরোতে যাই, বুঝতে পারি দরজা বাইরে থেকে আটকানো রয়েছে।’’
পুলিশ আরও জানায়, নীচের তলা থেকে লোকজন জড়ো হচ্ছে বুঝতে পেরে রাজ তড়িঘড়ি লিফ্ট-এ উঠে পড়ে। তারপর আবাসনের ভিতরেই কোথাও লুকিয়ে পড়ে। ওই আবাসনের দেখভালের জন্য মোট ২০ জন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে। বাসিন্দারা তাঁদের কাছ থেকেও রাজের ব্যাপারে কোনও রকম সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ। রাজ কোথায় লুকিয়ে রয়েছে বা ১৩ তলায় কী ঘটেছে জানতে চাইলে নিরাপত্তারক্ষীরা এ বিষয়ে কোনওরকম সাহায্য করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে তল্লাশি শুরু করে। ওই আবাসনের একটি ঘর থেকেই গ্রেফতার করা হয় রাজকে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, রাজ বহু দিন ধরেই ওই তরুণীর উপর নজর রাখছিল। এর আগে মে মাসে এক বার তরুণীর প্রয়োজনে ওই ফ্ল্যাটেও গিয়েছিল সে। তরুণী কখন কাজে বেরোন, কখন বাড়ি ফেরেন আর কখন ঘুমোতে যান সবটাই তার জানা ছিল। সে অনুযায়ী আগে থেকে পরিকল্পনাও করে রেখেছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy