Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষক-অপসারণ, ক্ষোভ জেএনইউয়ে

এই বদলের ফলে ভাষা চর্চা কেন্দ্রের দায়িত্বে এসেছেন আরবি ভাষার এক অধ্যাপক। ফরাসি ভাষা চর্চা কেন্দ্র সামলাবেন স্প্যানিশের অধ্যাপক।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৮ ০৩:০২
Share: Save:

সাত জন চেয়ারপার্সন ও ডিন-কে সরানোর বিজ্ঞপ্তি নিয়ে উত্তপ্ত জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)। নতুন হাজিরা নীতি নিয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা এবং তা কার্যকর না করার অভিযোগে পদ হারাতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত বিভিন্ন শিক্ষাকেন্দ্রের এই সাত ডিন ও চেয়ারপার্সনকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন শিক্ষক ও ছাত্ররা।

এই বদলের ফলে ভাষা চর্চা কেন্দ্রের দায়িত্বে এসেছেন আরবি ভাষার এক অধ্যাপক। ফরাসি ভাষা চর্চা কেন্দ্র সামলাবেন স্প্যানিশের অধ্যাপক। ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের চেয়ারপার্সন সুচেতা মহাজনের জায়গায় আনা হচ্ছে উমেশ কদমকে। গোটা বিষয়টিতে ক্ষুব্ধ সুচেতা বলেছেন, ‘‘তাড়াহুড়ো করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমরা কখনও বলিনি নতুন নিয়ম কার্যকর করব না। কিন্তু স্নাতকোত্তরে যে নিয়ম প্রয়োগ করা হচ্ছে, তা কোনও গবেষণা কেন্দ্রের ক্ষেত্রে যথাযথ না-ও হতে পারে। আমরা চেয়েছিলাম, আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হোক।’’

জানুয়ারিতে নতুন হাজিরা নীতি ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই অশান্তির সূত্রপাত। এই বদলের প্রতিবাদে ফ্যাকাল্টি সেন্টারের সামনে জেএনইউ প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন প্রতিবাদীরা। তাঁদের মতে, এটা সামাজিক ন্যায় ও সমান অধিকারের বিরোধী। যা এই প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্যকে ক্ষুণ্ণ করে। জেএনইউ শিক্ষক সংগঠনের সচিব সুধীর কে সুতার গোটা বিষয়ের পিছনে দায়ী করেছেন আগে থেকেই ছকে রাখা পরিকল্পনাকে। সংগঠনের সভাপতি সোনাঝরিয়া মিনজের বক্তব্য, ‘‘পড়াশোনা ও প্রশাসনিক বিষয়ে ইচ্ছাকৃত ভাবে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে।’’

ফের শিরোনামে জেএনইউ। জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানের অধ্যাপক অতুল জোহরির বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বসন্তকুঞ্জ থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন এক দল ছাত্রী। চাপের মুখে শেষমেশ দু’টি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ওই অধ্যাপক।

ছাত্রীদের অভিযোগ, অনেক দিন ধরেই যৌন হেনস্থা করছিলেন অতুল। প্রতিবাদ করলে রোষানলে পড়তে হত। ছাত্রীরা আর্থিক তছরুপের অভিযোগও এনেছেন অতুলের বিরুদ্ধে। ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি কিনতে টাকা খরচ দেখানো হলেও সেই যন্ত্র নাকি আসত না। অধ্যাপক অবশ্য এ সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ২৭ ফেব্রুয়ারি কয়েক জন ছাত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে তিনি মেল করেছিলেন বলেই প্রতিশোধ নিতে এই সব অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

JNU Unrest Deans Chairpersons
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE