গোরক্ষপুরে শিশুমৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল শরিক শিবসেনা। ঘটনাকে ‘গণহত্যা’ অ্যাখ্যা দিয়ে শিবসেনার অভিযোগ— গরিবের ‘মন কি বাত’ রাজনেতাদের বিচলিত করে না!
দলের মুখপত্র ‘সামনা’-য় সকালে তো নাম না-করে মোদীর সমালোচনা করাই হয়েছে। পরে দলের নেতারাও মোদীকে বিঁধে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী রেডিওতে ‘মন কি বাত’ করেন। কিন্তু এই গণহত্যার পর গরিবের ‘মন কি বাত’ তিনি শুনছেন না!’’ তাঁদের শ্লেষ, সৌভাগ্যের বিষয় সরকার মৃত্যুর ঘটনা স্বীকার করেছে। না-হলে এমনও হতে পারত, কাল লালকেল্লা থেকে বক্তৃতা শুনলেই শিশুরা ফের শ্বাস নেওয়া শুরু করবে। শিবসেনার মতে, শুধু গরিবের সন্তানরাই
কেন মারা যাচ্ছে? ‘সুদিন’ কি শুধু ধনীদের জন্যই?
গোরক্ষপুরের ঘটনা যে মোদীকে বেগ দিচ্ছে, মানছেন বিজেপি নেতারাও। অমিত শাহকে আজ প্রশ্ন করা হয়, পর্তুগাল থেকে তুরস্ক— কিছু ঘটলে প্রধানমন্ত্রীর টুইট আসে। কিন্তু গোরক্ষপুর নিয়ে চুপ মোদী। অমিত শাহ অবশ্য যুক্তি দেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন। টুইটই একমাত্র মাধ্যম নয়।’’
শরিক শিবসেনার পাশাপাশি বিজেপি সাংসদ বরুণ গাঁধীও আজ গোরক্ষপুর নিয়ে আসরে নেমেছেন। তিনি বলেন, ‘‘এই বিপর্যয় আমাকে বড় ধাক্কা দিয়েছে। এমন ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।’’ তবে দলের বিরুদ্ধে বলছেন, এ’টি যাতে মনে না হয়, তার জন্য বরুণ সাংসদ তহবিলের টাকায় নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র সুলতানপুরে একটি শিশু হাসপাতাল গড়ার কথা বলেন।
শিশুমৃত্যুর মধ্যেই ধুমধাম করে জন্মাষ্টমী পালনের কথা বলে বিতর্ক তৈরি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। অমিত শাহকে প্রশ্ন করা হয়, জন্মাষ্টমীর পর্ব শিশুদের নিয়েই। আর নিজের রাজ্যে শিশুমৃত্যুর পরেও মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে মাতছেন। অমিত বলেন, সেটি ব্যক্তিগত আস্থার বিষয়। কোনও সরকারি অনুষ্ঠান নয়।
এর মধ্যেই সোমবার কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, কাল লালকেল্লার বক্তৃতায় শিশুমৃত্যুর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে মোদীকে। সপা নেতা অখিলেশ যাদব আজ তিন মৃত শিশুর বাড়িতে যান। সেখানেই তিনি দলের তরফে মৃত শিশুদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্য দেওয়ার ঘোষণা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy