প্রতীকী ছবি।
নবরাত্রির সময় বন্ধ রাখতে হবে সমস্ত মাংসের দোকান। গুরুগ্রামে ফতোয়া দিল শিবসেনা। শুধু ফতোয়ায় থামল না কট্টরবাদীরা। এলাকার প্রায় ৫০০টি মাংসের দোকান জোর করে বন্ধ করে দিল তারা। তার মধ্যে রয়েছে কেএফসি-র আউটলেটও। শুধু নবরাত্রির ন’দিন নয়, এর পর থেকে প্রতি মঙ্গলবার মাংসের দোকান বন্ধ রাখতে হবে বলেও ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়েছে শিবসেনা।
ওল্ড গুরুগ্রাম এলাকাতেই মূলত মাংসের দোকানগুলি বন্ধ করা হয়েছে। প্রায় ২০০ শিব সৈনিক দোকানে দোকানে হানা দিয়ে সেগুলি বন্ধ করতে বাধ্য করেছে বলে খবর। পালাম বিহার এলাকার মাংসের বাজার এবং বিভিন্ন ধাবাও তারা বন্ধ করে দিয়েছে। ফতোয়ার কথা শিবসেনার নেতারা বেশ সদর্পেই স্বীকার করছেন। গুরুগ্রাম শিবসেনার সভাপতি গৌতম সাইনি বলেছেন, ‘‘মাংসের দোকানের মালিকদের এবং কেএফসি-সহ অন্যান্য ফাস্ট ফুডের দোকানগুলিকে আমরা নোটিস দিয়েছি। নবরাত্রি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছি।’’ নবরাত্রি মেটার পরও অবশ্য রোজ দোকান খোলা যাবে না বলে শিবসেনার ‘নির্দেশ’। প্রতি মঙ্গলবার দোকানগুলো বন্ধ রাখতে হবে, মালিকদের জানিয়ে দিয়েছে শিবসেনা।
শুধু কাঁচা মাংসের দোকান নয়, কেএফসি-ও রেহাই পাচ্ছে না শিব সৈনিকদের হাত থেকে। (প্রতীকী ছবি / সংগৃহীত)
গুরুগ্রাম পুলিশের এসিপি (পিআরও) মণীশ সেহগল অবশ্য জানিয়েছেন, কয়েকটি মাংসের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু পরে সেগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। ওই দোকানগুলি বৈধ লাইসেন্স নিয়েই চলছে বলে এসিপি জানিয়েছেন। জোর করে দোকান বন্ধ করার খবর পেলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সংসদের উঠোনে হিন্দুত্বের ভোজ
ভারতের বিভিন্ন এলাকাতেই নবরাত্রি উৎসব ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয়। উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায় চৈত্র মাসের এই ন’দিন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দিনের বেলায় উপবাসে থাকেন। এই ন’দিনে তাঁরা আমিষ খাবারও খান না। কিন্তু এলাকায় মাংসের দোকান এবং ফাস্ট ফুডের দোকান খোলা থাকলে নবরাত্রির ব্রত পালনে কী সমস্যা হবে, তার সদুত্তর শিবসেনার কাছে নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy