কী কী করলে জাতীয় পতাকার অবমাননা হবে? জানাচ্ছেন মিজোরামের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিশ্বজিত্ দেব। —নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় পতাকা প্রসঙ্গে ভারতীয় আইনে অনেক কথাই বলা হয়েছে। পতাকা কেমন হবে এবং পতাকা নিয়ে কী কী করা যাবে না, সে বিষয়েও নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু জুতো পরে পতাকা উত্তোলন করা যাবে কি না, সে সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে কোনও নির্দেশিকা নেই। ভারতের রাষ্ট্রপতি, উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী বা কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল— কাউকেই কখনও জুতো খুলে পতাকা উত্তোলন করতে দেখেছি, এমনটা এই মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
পতাকা প্রসঙ্গে ভারতীয় আইন কী বলছে?
‘প্রিভেনশন অব ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট ১৯৭১ অ্যান্ড ফ্ল্যাগ কোড অব ইন্ডিয়া’র কথা ভারতীয় আইনে বলা আছে। জাতীয় পতাকার রং, তার মাপ, ফ্ল্যাগ পোলের উচ্চতা— এ সব নিয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে সেখানে। ২০০২ সালে এই ফ্ল্যাগ কোড ‘প্রভিশন্স অব এমব্লেম অ্যান্ড নেমস (প্রিভেনশন অব ইনপ্রপার ইউজ) অ্যাক্ট ১৯৫০ অ্যান্ড প্রিভেনশন অব ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট ২০০৫’-এর সঙ্গে জুড়ে যায়।
আরও পড়ুন
জাতীয় পতাকা তোলা নিয়ে মুসলিম অধ্যক্ষকে নিগ্রহ
এই ধারার দুটো অংশ রয়েছে। তার মধ্যে পার্ট ওয়ানে পতাকা কেমন হবে, তার নির্দেশিকা রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, তেরঙ্গা পতাকা তিনটে সমান আয়তক্ষেত্রে বিভক্ত থাকবে। উপরের অংশ গেরুয়া, মাঝের অংশ সাদা এবং নীচের অংশ সবুজ হবে। মাঝের সাদা অংশে গাঢ় নীল রঙের অশোকচক্র, যাতে ২৪টি স্পোক থাকবে। পতাকাটির আয়তন ৩:২ অনুপাতে হতে হবে।
কী কী করলে জাতীয় পতাকার অবমাননা হবে? ওই ধারার দ্বিতীয় অংশে সে কথাই বলা হয়েছে। কী ভাবে জাতীয় পতাকা ওড়াতে হবে? আইনে ভাল এবং পরিষ্কার জায়গায় তা ওড়ানোর কথা বলা হয়েছে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা উত্তোলিত থাকবে। গেরুয়া রং উপরের দিকে রাখতে হবে। কোনও ভাবেই অন্য কোনও দেশের বা অন্য কোনও পতাকার থেকে নীচে রাখা যাবে না... ইত্যাদি।
আরও পড়ুন
অনাড়ম্বরেই বিয়ে সারলেন শর্মিলা-ডেসমন্ড
এখানেই বলা হয়েছে, ছিঁড়ে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত পতাকা তোলা যাবে না। পতাকা মাটিতে রাখা যাবে না। আগুনে পোড়ানোও নিষিদ্ধ। ঘর সাজানোর কাজেও ব্যবহার করা যাবে না জাতীয় পতাকা। আইন অনুযায়ী, জাতীয় পতাকার প্রতি কোনওরকম অসম্মান প্রদর্শনই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী তিন বছরের জেল এবং জরিমানা হতে পারে।
কিন্তু, এই আইনের কোথাও জুতো খুলে পতাকা তোলার কথা বলা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy