স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দিলেন শিলচরের পুরপ্রধান নীহারেন্দ্রনারায়ণ ঠাকুর।
আজ সাংবাদিক সম্মেলনে ‘নির্ভয়’ নামে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে নীহারবাবু বলেন, ‘‘কংগ্রেস আমলে পুরসভা থেকে অনৈতিক ভাবে নানা সুবিধা গ্রহণ করেছেন বিজিত রায়।’’ নীহারবাবুর বক্তব্য, তিনি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর সে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক দিন থেকেই বিজিতবাবু ক্ষেপেছিলেন। এমনকী, সরকার মনোনীত পুরসদস্য হতে চেয়েও ব্যর্থ হন। তাই এখন এ সব ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন।
পুরপ্রধান জানান, অবসরের সময় তিনি ২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছিলেন। পরে তখনকার পুরপ্রধানের সঙ্গে বোঝাপড়ায় সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব ট্যাক্স পদে অস্থায়ী ভাবে যোগ দেন। তখন তাঁর বেতন ছিল ৩০ হাজার। নীহারবাবুর কথায়, ‘‘একে এই ধরনের কোনও পদই নেই কোনও পুরসভায়। দ্বিতীয়ত, স্থায়ী চাকরি থেকে বেশি বেতনে তিনি অস্থায়ী চাকরি করেছেন। ফলে অনৈতিকতার জায়গাটি স্পষ্ট।’’
নীহারবাবু দায়িত্ব নেওয়ার পরও বিজিতবাবু নানা ভাবে ওই অস্থায়ীপদে কাজ করতে চেয়েছিলেন, এমনই অভিযোগ করেন নীহারবাবু। তিনি দাবি করেন, এমন অনৈতিকতা মা্নতে না পারায় এখন তাঁর বিরুদ্ধেই বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ তুলছেন বিজিবাবু। নীহার ঠাকুর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বিজিতবাবুকে অভিযোগের প্রমাণ দিতে বলেন। ফাটকবাজার জি ব্লক নির্মাণ নিয়ে নীহারবাবুর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে পাল্টা তাঁকেই বিদ্ধ করা হয়। তিনি জানান, জি ব্লক তৈরির সময় কংগ্রেসের বোর্ড ছিল। আর বিজিতবাবু ছিলেন গুরুদায়িত্বে।
পুরসভা থেকে এগজিকিউটিভ অফিসার প্রথা রদের তিনি যে তোড়জোর করছেন, তা মেনে নিয়ে নীহারবাবু বলেন, ‘‘ক্ষমতায় ফেরা সম্ভব নয় নিশ্চিত হয়ে কংগ্রেস এই জটিল প্রক্রিয়া চালু করে গিয়েছে।’’ পুর আইন সংশোধন করে এই জটিলতার অবসান ঘটানো প্রয়োজন বলে তিনি আজও জোরগলায় দাবি করেন। নীহারবাবুর বক্তব্য, এ আবার কেমন কথা! নির্বাচিত সভাপতি সিদ্ধান্ত নেবেন আর অর্থসংক্রান্ত ক্ষমতা থাকবে এগজিকিউটিভ অফিসারের হাতে! এই সব কি দিলীপকুমার পালের সঙ্গে সংঘাতের জের। প্রবীণ রাজনীতিবিদ নীহার ঠাকুরের জবাব, ‘‘তা বলতে পারি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy