অসমে ২০০৬ সালের আগে অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকরা ইউজিসি অনুমোদিত বর্ধিত হারে পেনশন পাচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের কারও মৃত্যুর পর ‘ফ্যামিলি পেনশন’ মিলছে পুরনো বেতনহার অনুযায়ী। এই পরিস্থিতিতে পরিবারের ভবিষ্যতের কথা ভেবে চিন্তায় পড়েছেন ওই সময়ের আগে অবসর নেওয়া কলেজ শিক্ষকরা। গত রবিবার কলেজ শিক্ষক সংগঠনের কাছাড় জেলা কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভায় এই বিষয়ে আলোচনা করা হয়। অনেকে জানান, অসমে ২০০৬ সালে কলেজ শিক্ষকদের জন্য ইউজিসি স্কেল চালু হয়। ফলে এর আগে ও পরে বেতনে ফারাক দেখা দেয়। ফলে সংশ্লিষ্ট তারিখের আগে ও পরে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের পেনশনেও ফারাক দেখা দিয়েছিল। সরকার এই ব্যবধান কমাতে ২০০৬ সালের আগে অবসরপ্রাপ্তদের জন্য বর্ধিত পেনশন ঘোষণা করে। কিন্তু পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে ইউজিসি অনুমোদিত বর্ধিত হার কার্যকর না করায় কোনও কলেজ শিক্ষকের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটাতে হয়।
জেলা কমিটির সভাপতি শ্রীমন্ত দত্ত জানান, রাজ্য কমিটি সরকারের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করছে। কিন্তু কোনও সাড়া মিলছে না। কাছাড়ের অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকরাও এ নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই বিষয়ে রাজ্য কমিটির যে কোনও কর্মসূচিতে তাঁরা সক্রিয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সংগঠনের রাজ্য সভাপতি গঙ্গেশ কর জানান, ষষ্ঠ বেতন কমিশনে আর কিছু হওয়ার নেই। ২০১৬ সালে সপ্তম বেতন কমিশন গঠনের কথা রয়েছে। তাই শুরু থেকেই এ নিয়ে লড়াইয়ের প্রস্তুতি চলছে।
তবে নিজেদের সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেই দায়িত্ব সারেননি কাছাড়ের অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষকরা। জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) নবীকরণের নামে সাধারণ মানুষ যে অসহায় অবস্থায় রয়েছেন— তা নিয়েও আলোচনা করেন। নেপালে ভূমিকম্পে দুর্গতদের জন্য ১০ হাজার টাকা পাঠানোরও সিদ্ধান্ত হয়। দু-চারদিনের মধ্যে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে সেই টাকা দান করা হবে বলে জানান জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক নন্দিতা দত্ত রায়। বার্ষিক সাধারণ সভায় বিভিন্ন বিষয়ে বলেন বীরেন্দ্র সিংহ, সৌরীন ভট্টাচার্য, সুশীল পাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy