ইমানের চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ তুললেন তাঁর বোন সাইমা। তাঁর অভিযোগ, চিকিত্সকরা ইমানের ওজন কমা নিয়ে যা দাবি করেছেন, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। একটি সংবাদ সংস্থাকে এ কথা জানান তিনি। তবে সাইমার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সাইমার অভিযোগ, ইমান ঠিক মতো হাত-পা নাড়াতে পারছেন না। এমনকী ঠিক মতো কথাও বলতে পারছেন না। গত ১৩ মার্চ চিকিত্সকরা ইমানকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সাইমা বলেন, “চিকিত্সকরা আমাকে জানান ফিজিওথেরাপি এবং রিহ্যাবিলিটেশনের জন্য ইমানকে হাসপাতালে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই।” ইমান এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়। এই অবস্থায় তাঁকে বাড়িতে নিয়ে গেলে ফের যদি কোনও সমস্যা হয় তা হলে অথৈ জলে পড়তে হবে বলে জানান তিনি। প্রশ্ন তোলেন, কী ভাবে এই অবস্থায় চিকিত্সকরা বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন?
তবে সাইমার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ইমানের চিকিত্সার দায়িত্বে থাকা মুফজ্জল লাকড়াওয়ালা বলেন, “ওবেসিটিক কারণে মৃত্যু হবে না ইমানের। সেই দিকটা ভাল ভাবে চিকিত্সা করা হয়েছে। সব রকম চিকিত্সা করার পরেও হাসপাতালের বদনাম করতে চাইছেন সাইমা। কেননা, মিশরে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা করানোর মতো সামর্থ্য নেই তাঁদের। তাই এই পথটাই বেছে নিয়েছেন তিনি।” সাইমার এ ধরনের আচরণে হাসপাতালের সমস্ত কর্মী হতাশ বলেও জানান লাকড়াওয়ালা।
আরও পড়ুন: দিল্লি মেট্রোতে ‘পাকিস্তানি’ বলে বৃদ্ধকে অপমান
সাইমার আরও অভিযোগ, ইমানের পুরোপুরি চিকিত্সার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু হঠাত্ করে এখন তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলছেন। তাঁর দাবি, যে দিন থেকে ইমান হাসপাতালে এসেছে তাঁর ওজনই মাপা হয়নি। ইমান খুবই দুর্বল। এখনও টিউব দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। ঠিক মতো কথা বলতে পারছে না। চিকিত্সার মঝপথে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত কি যুক্তিসঙ্গত, প্রশ্ন তোলেন সাইমা।
গত মার্চেই অস্ত্রোপচার করে ইমানের পাকস্থলির আকার কমান চিকিত্সকরা। ইমানের যে জিনগত সমস্যা রয়েছে অস্ত্রোপচারে তা ঠিক হবে না বলেও জানান তাঁরা। চিকিত্সক লাকড়াওয়ালা বলেন, “ইমানের ওবেসিটির যে সমস্যা ছিল, আমাদের সাধ্যমতো তা ঠিক করার চেষ্টা করেছি। এখন ওঁর দরকার নিউরো চিকিত্সার। যেটা আমার অভিজ্ঞতার বাইরে।” কেন ইমানের প্যারালিসিস অ্যাটাক হল সে ব্যাপারে দেখাশোনা করবেন নিউরোলজিস্ট অরুণ শাহ। হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, ইমানের মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে তিনি সুস্থ হয়ে উঠছেন। তার পরেও সাইমা কী ভাবে অভিযোগ তুলছেন, পাল্টা প্রশ্ন চিকিত্সকদের।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিশর থেকে বিশেষ বিমানে করে মুম্বইয়ে চিকিত্সার জন্য নিয় আসা হয় বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মহিলা ইমান আহমেদকে। তাঁর ওজন ছিল ৫০০ কেজি। অস্ত্রোপচার করে চিকিত্সকরা তাঁর ওজন কমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy