জেলিয়াং।— ফাইল চিত্র।
পরাজয়ের আশঙ্কায় আস্থাভোট চাইতে বিধানসভায় গেলেন না সুরহোজেলি লিঝিৎসু। গরহাজির থাকলেন তাঁর পক্ষের বিধায়করাও। সংবিধান মেনে বুধবার তা-ই লিঝিৎসুর কুর্সি টি আর জেলিয়াংকে ফেরালেন নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালকৃষ্ণ আচার্য। দুপুরে রাজভবনে শপথ নিলেন জেলিয়াং। খাতাকলমে সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাঁর পক্ষেই। এনপিএফ-এর ৩৪ জন বিধায়ক ছাড়া বিজেপির চার ও সাত নির্দল বিধায়ক জেলিয়াংকে সমর্থন করছেন। ২২ জুলাইয়ের মধ্যে জেলিয়াংকে আস্থাভোটের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল।
এনপিএফ দ্বিখণ্ডিত। সুরহোজেলি শিবিরের দাবি, তারাই আসল এনপিএফ। জেলিয়াংদের দল থেকে বহিষ্কার করে ওই গোষ্ঠী জানায়, ওই সব জনপ্রতিনিধির বিধায়কপদ খারিজের জন্য দলবদল-বিরোধী আইনে মামলা করা হবে। সুরহোজেলির দাবি, অরুণাচলের মতো ক্ষমতা দখল করতে নাগাল্যান্ডেও কলকাঠি নাড়ছে ড্যান জোটের শরিক বিজেপি। মদত দিচ্ছেন রাজ্যপাল।
এ বছর ফেব্রুয়ারিতে মহিলাদের জন্য আসন সংরক্ষণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয় রাজ্যে। শাসক জোট ‘ড্যান’-এর প্রধান শরিক এনপিএফ সিদ্ধান্ত নেয়, পদত্যাগ করবেন টি আর জেলিয়াং। মুখ্যমন্ত্রী হবেন এনপিএফ সভাপতি সুরহোজেলি। পরে জেলিয়াং মুখ্যমন্ত্রী পদে ফিরবেন। কিন্তু সুরহোজেলির পদ ছাড়ার ইচ্ছা ছিল না। তিনি বিধায়ক নন। তাই তাঁর ছেলে, পরিষদীয় সচিব খ্রিয়েহু লিঝিৎসু উত্তর আঙ্গামি কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করে বাবাকে লড়াইয়ের জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন। ২৯ জুলাই উত্তর আঙ্গামি আসনে উপ-নির্বাচনে লড়বেন সুরহোজেলি। তার বদলে ছেলেকে মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদ দিয়ে পূর্ণমন্ত্রীর মর্যাদা দেন সুরহোজেলি। স্বজনপোষণের সেই ঘটনা থেকেই দলের অন্দরে বিদ্রোহের সূত্রপাত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy