Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
National News

শেষকৃত্য করতে না পেরে বাড়ির পিছনেই বাবার দেহ পুঁতল ছেলে

অনেক দিন ধরেই রোগে ভুগছিলেন পঞ্জাবের ভাতিন্ডার বাসিন্দা সুরজিত্ সিংহ। বাবার দেখাশোনা করত ছোট্ট মনোজ। আর্থিক অনটনের কারণে দু’বেলা ঠিকমতো খাবারই জুটত না বাবা-ছেলের।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৭ ১১:৩৩
Share: Save:

এ যেন আর এক অভাগী আর কাঙালীর গল্প। শরত্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সেই অমর গল্পে মায়ের মৃত্যুর পর তাঁকে দাহ করার টাকাটাও জোগাড় করে উঠতে পারেনি কাঙালী। শেষে নদীর চরে গর্ত খুঁড়ে অভাগীর দেহ পুঁতে দেয় সে। বাস্তবেও যেন অভাগী আর কাঙালী হয়ে রইলেন সুরজিত্ সিংহ এবং তাঁর ছেলে মনোজ।

আরও পড়ুন: ডোকলাম বিতর্কে দিল্লির পাশে জাপান

অনেক দিন ধরেই রোগে ভুগছিলেন পঞ্জাবের ভাতিন্ডার বাসিন্দা সুরজিত্ সিংহ। বাবার দেখাশোনা করত ছোট্ট মনোজ। আর্থিক অনটনের কারণে দু’বেলা ঠিকমতো খাবারই জুটত না বাবা-ছেলের। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটা গুরুদ্বারে গিয়ে খেয়ে আসত মনোজ। এ দিকে, চিকিত্সার অভাবে ক্রমেই শরীর ভেঙে পড়েছিল সুরজিতের। শয্যাশায়ী হয়ে পড়ছিলেন ধীরে ধীরে। কয়েক দিন আগেই মারা যান সুরজিত্।

আরও পড়ুন: গোমাংস গুজবে ফের মার, বিহারে জখম ৭

বাবার শেষকৃত্য কী ভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তায় ছিল মনোজ। সাত-পাঁচ না ভেবে টাকার জন্য ছুটে গিয়েছিল আত্মীয়দের বাড়ি। কিন্তু সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয়। শেষকৃত্য করতে না পেরে বাড়ির পিছনে একটি ফাঁকা জায়গায় সুরজিতের দেহ পুঁতে দেয় সে। ঘটনার ছয় দিন পরে পড়শিরা দেখতে পান কয়েকটি কুকুর মাটি খুঁড়ে একটা মানুষের দেহ নিয়ে টানাটানি করছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের কাছে খবর দেন তাঁরা। মৌর মান্ডি থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। সেই সঙ্গে মনোজকেও জেরা করে তারা। মনোজের জবাব শুনে পুলিশও অবাক হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: কসাইখানায় মোষ নিয়ে যাওয়ার পথে দিল্লিতে গণপিটুনি ৬ জনকে

মনোজ পুলিশকে জানায়, তাদের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। খাবারও জোটে না ঠিক করে। এই অবস্থায় বাবার চিকিত্সা চালানো ‘অলীক কল্পনা’ ছাড়া কিছু নয়! রোগে আক্রান্ত হয়ে বাবা মারা গেলে শেষকৃত্যের জন্য আত্মীয়দের কাছে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়। উপায় না দেখে শেষমেশ বাড়ির পিছনেই বাবার দেহ পুঁতে দেয় সে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE