সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের আন্দোলনে সফল হয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ে। সেটা দেখেই জমি বিল নিয়ে এখন রাস্তায় নেমেছে কংগ্রেস। আজ এই দাবি করেছে তৃণমূল। কৃতিত্ব দাবির এই প্রয়াসের মধ্যেও যদিও জমি অধ্যাদেশ নিয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলির ঐক্যবদ্ধ ছবিটা এ দিন ফুটে উঠেছে। লোকসভায় এই অধ্যাদেশ পেশ হতেই বিরোধীরা হইচই শুরু করে দেন। নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়ে ওয়াকআউট করে কংগ্রেস, তৃণমূল।
জমি অধ্যাদেশ নিয়ে এ দিন সংসদের ভিতরে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে সফল হয়েছেন সনিয়া গাঁধী। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস কক্ষ সমন্বয় করেই এগিয়েছে। কংগ্রেসের লোকসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘‘তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা এই বিরোধিতা করছি।’’ তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, জমি অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পশ্চিমবঙ্গে ৩৪ বছরের বাম শাসন সরানো সম্ভব হয়েছে।
এই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া কংগ্রেসের মতো বেশ কিছু দলের নজর কেড়েছে। তাই কোণঠাসা কংগ্রেস আজ মরিয়া হয়ে জমিকে হাতিয়ার করতে চাইছে। লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দোপাধ্যায়েরর দাবি, গত বছর ২৯ অগস্ট জমি বিলের উপর তাঁর আনা সংশোধনীর উপরে ভোটাভুটি হলে বিজেপি এবং কংগ্রেস একই সঙ্গে বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল।
সূত্রের খবর, জমি অধ্যাদেশ লোকসভায় পেশ করা হলেও এ মাসে সরকার কিন্তু কোনও বিল আনছে না। সামনের মাসের গোড়ায় প্রথমে রেল এবং সাধারণ বাজেট পাশ করিয়ে (৩০ তারিখের মধ্যে বাজেট পাশ করাতে হবে) তার পর বিলটিকে নিয়ে সক্রিয় হবে মোদী সরকার। ফলে বিরোধীদের বোঝাতে হাতে আরও কিছুটা সময় পাওয়া যাবে। সরকার আত্মবিশ্বাসী, সংখ্যার জোরে লোকসভায় অনায়াসে এই বিল পাশ হয়ে যাবে।
রাজ্যসভায় পাশ করানোর জন্য বিরোধীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে চলেছে সরকার। আজ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বিদেশ থেকে ফিরেছেন। আগামী কাল সকালে মোদীর সঙ্গে বিজেপির শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসবেন। পরবর্তী কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে। রাজ্যসভায় বিলটি পরাস্ত হলে যৌথ অধিবেশনে যাওয়ার কথা ভাবা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy