ওসির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুললেন এক মহিলা। শোণিতপুর জেলার বিশ্বনাথ পুলিশ জেলার ঘটনা। জামুগুড়ি হাটের বাসিন্দা ওই মহিলা দাবি করেন, তাঁর এক আত্মীয়া ট্রাক চাপা পড়ে মারা গিয়েছিলেন। ৩১ অগস্ট সকালে ময়না তদন্তের রিপোর্ট আনতে তিনি থানায় যান। তখন তিনি দেখেন, ওসি উমেশচন্দ্র বরদলৈ অভিযুক্ত ট্রাক মালিকের কাছ থেকে ঘুষ নিচ্ছেন। ওই মহিলা সেই ছবি মোবাইল ক্যামেরায় তুলতে থাকেন। তা দেখতে পেয়ে থানার হোমগার্ড দিলীপ চৌধুরী তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। তিনি উঠে দিলীপবাবুকে চড় মারলে ওসি তাঁকে থানা থেকে বের করে দেন।
অভিযোগকারিণীর দাবি, ৬ সেপ্টেম্বর রাতে স্থানীয় এক কংগ্রেস নেতা সদলবলে তাঁর উপরে চড়াও হন। মোবাইলে পুলিশের ঘুষ নেওয়ার ছবি তোলায় তাঁকে জোর করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওসি ডাক্তারি পরীক্ষার নাম করে তাঁকে উত্তর জামুগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে এক জন নার্স তাঁকে ইঞ্জেকশন দেন। তার পরই তিনি বেহুঁশ হয়ে পড়েন। অভিযোগ, তখনই ওই ওসি থানায় নিয়ে গিয়ে একটি ঘরে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে। পর দিন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা, গয়না কিছু ফেরত দেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি জামিন পাওয়ার পর ওই মহিলা এ়ডিজি (আইন শৃঙ্খলা) আর এম সিংহকে অভিযোগপত্র পাঠান। ঘটনাটি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা। বিশ্বনাথ জেলার এসপি মানবেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ‘‘এএসপি সামাদ হুসেনকে ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই মহিলার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীই ভয় দেখানো ও তোলাবাজির অভিযোগ এনেছিল। মহিলার গায়ে হাত তোলার অভিযোগ পেয়ে ওই হোমগার্ডকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’
অভিযুক্ত ওসি উমেশবাবু বলেন, ‘‘ওই মহিলা নিজেকে সিআইডি অফিসার বলে দাবি করতেন। পলি, পুতুল বিভিন্ন নামে পরিচয় দিয়ে মানুষকে ভয় দেখাতেন। স্থানীয় মানুষই ৫ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। মহিলার কঠোর শাস্তির দাবিতে রাত পর্যন্ত থানা ঘেরাও করেও রাখা হয়েছিল। এখন ওই মহিলা আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশপ্রণোদিত ভাবে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy