ঝড়ে ভেঙে পড়েছে বাঁশের বিরাট কাঠামো। ছবি: দীপ আহমেদ।
তীরে এসে তরী ডোবার উপক্রম। প্রবল ঝড়ে ভেঙে পড়ল নজির গড়তে চলা দুর্গা। গুয়াহাটির বিষ্ণুপুর সর্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি এ বার ১০০ ফুটের দুর্গা বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিল। দু’বছর আগে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে যে ৮৮ ফুটের দুর্গা তৈরি হয়েছিল, তাকে টপকে যাওয়ার লক্ষ্য তো ছিলই। লক্ষ্য ছিল উচ্চতম দুর্গা বানিয়ে গিনেস বুকে নাম তোলাও। কিন্তু উদ্বোধনের আট দিন আগে মাত্র দশ মিনিটের ঝড় ভেস্তে দিল উদ্যোক্তাদের সব পরিকল্পনা। ভেঙে পড়ল বাঁশের তৈরি সুবিশাল দুর্গাপ্রতিমা তথা মণ্ডপ।
আরও পড়ুন: রামমন্দির নিয়ে চাপ বাড়াচ্ছে ভিএইচপি
২০১৫ সালে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কের পুজো ৮৮ ফুট উচ্চতার দুর্গা তৈরি করে নজির গড়েছিল। ভিড়ের চাপে সেই পুজো মাঝপথে বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এ বছর গুয়াহাটির বিষ্ণুপুর সর্বজনীন কলকাতার রেকর্ড ভাঙার পরিকল্পনা করেছিল। দেশপ্রিয় পার্কে যে ভাবে মণ্ডপকেই দুর্গাপ্রতিমার আদলে গড়ে তোলা হয়েছিল, ঠিক সেই ভাবেই নিজেদের মণ্ডপে এ বার বিষ্ণুপুর সর্বজনীন দুর্গার অবয়ব ফুটিয়ে তুলছিল। ১০০ ফুট উঁচু বাঁশের দুর্গা যাতে রেকর্ডে নাম তুলতে পারে, তার জন্য লিমকা ও গিনেস বুকে আবেদনও পাঠানো হয়ে গিয়েছিল। নজির গড়া ছিল সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু রবিবার দুপুরে গুয়াহাটিতে আছড়ে পড়ে মিনিট দশেকের প্রবল ঝড়। তার ঝাপটায় বাঁশের তৈরি দুর্গার সুবিশাল অবয়ব ভূপতিত হয়।
আরও পড়ুন: নোট-কয়েনের প্রণামী চলবে না এ মন্দিরে
২৭ লক্ষ টাকা বাজেট নিয়ে এ বার মাঠে নেমেছিল বিষ্ণুপুর সর্বজনীন পুজো কমিটি। তার মধ্যে মণ্ডপেই খরচ ১০ লক্ষ। থিম-মেকার নুরউদ্দিন আহমেদের ছেলে দীপ আহমেদ জানান, প্রায় ৬ হাজার বাঁশে তৈরি দেবীমূর্তির পায়ের কাছে শুয়ে বিরাট অসুর। সব মিলিয়ে উচ্চতা ছিল ১১০ ফুট হবে। রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে বাছাই করে ছ’হাজার বাঁশ আনা হয়েছিল। নলবাড়ি, চাঁদডুবি, ছয়গাঁও থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল ৪০ জন শিল্পীকে। কিন্তু রবিবার বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে পড়ল পুজো কমিটি। পঞ্চমীর দিনে মণ্ডপ উদ্বোধন করার কথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের। হাতে মাত্র ৮ দিন। কমিটির আশঙ্কা, পঞ্চমীর মধ্যে ফের সব ঠিক করা সম্ভব হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy