Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

অর্থনীতির হাল নিয়ে স্বামীর প্রশ্নে চাপে মোদী

বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মতে, দেশের অর্থনীতি বড়সড় মন্দার দিকে চলেছে। চাঙ্গা করার চেষ্টা না হলে ভেঙে পড়বে। স্বামীর দাবি, তিনি গত বছর মে মাসে এ নিয়ে ১৬ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করেছিলেন।

স্বাগতম: প্রধানমন্ত্রী ফের নিজের কেন্দ্রে। নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নাইক, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বারাণসীতে দু’দিনের সফরের শুরুতেই শুক্রবার এক জনসভায় মোদী নিশানা করেন বিরোধীদের। বলেন, ‘‘কেন্দ্রে এর আগের সরকারগুলি উন্নয়নকে ঘৃণা করে এসেছে। বরাবর লুঠ করে এসেছে জনগণের টাকা।’’ ছবি: পিটিআই।

স্বাগতম: প্রধানমন্ত্রী ফের নিজের কেন্দ্রে। নরেন্দ্র মোদীকে শুভেচ্ছা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নাইক, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বারাণসীতে দু’দিনের সফরের শুরুতেই শুক্রবার এক জনসভায় মোদী নিশানা করেন বিরোধীদের। বলেন, ‘‘কেন্দ্রে এর আগের সরকারগুলি উন্নয়নকে ঘৃণা করে এসেছে। বরাবর লুঠ করে এসেছে জনগণের টাকা।’’ ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১৪
Share: Save:

অর্থনীতির ‘দুরবস্থা’ নিয়ে প্রশ্ন উঠল বিজেপির অন্দরেই। বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মতে, দেশের অর্থনীতি বড়সড় মন্দার দিকে চলেছে। চাঙ্গা করার চেষ্টা না হলে ভেঙে পড়বে। স্বামীর দাবি, তিনি গত বছর মে মাসে এ নিয়ে ১৬ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রীকে সতর্ক করেছিলেন।

এমনিতেই বিরোধীরা আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশের ঘরে নামা নিয়ে মোদীকে নিশানা করছে। চাপের মুখে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দাওয়াই বা ‘স্টিমুলাস প্যাকেজ’-এর কথাও ভাবতে হচ্ছে কেন্দ্রকে। যা নিয়ে কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বলের কটাক্ষ, ‘‘অর্থনীতির জন্য ভায়াগ্রা খুঁজতে হচ্ছে মোদী সরকারকে।’’ আর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের মতেও, নোটবন্দির ‘রোমাঞ্চকর’ পথে হাঁটতে গিয়েই সর্বনাশ হয়েছে অর্থনীতির। এমন পদক্ষেপের কোনও প্রয়োজন ছিল না। এরই মধ্যে সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর আক্রমণ মোদীকে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলেছে। স্বামী অরুণ জেটলির বিরোধী বলে পরিচিত। কিন্তু হার্ভাডের অর্থনীতিবিদ স্বামীর কথা একেবারে ফেলে দেওয়ার নয় বলেই বিজেপির অনেক নেতার মত। স্বামী সম্প্রতি বলেছেন, ‘‘অর্থনীতি নামছে। একে চাঙ্গা করতে অনেক কিছু করতে হবে। না হলে বড়সড় মন্দা দেখা দেবে। ব্যাঙ্ক ভেঙে পড়তে পারে, কারখানা বন্ধ হতে পারে।’’ চলতি অর্থ বছরের শুরুতেই, এপ্রিল-জুনে বৃদ্ধির হার ৫.৭%-এ নেমেছে। স্বামীর যুক্তি, ‘‘যা বলা হয়, বৃদ্ধির হার তার থেকেও কম। এটা আরও কমবে।’’

অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে স্বামীর দাওয়াই, আয়কর পুরোপুরি তুলে দেওয়া হোক। স্থায়ী আমানতে সুদের হার বাড়ানো হোক। তা হলে সঞ্চয় বাড়বে। শিল্পের জন্য ঋণে সুদের হার কমানো হোক। তা হলে লগ্নি শুরু হবে। ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প গতি পাবে। কাজের সুযোগও তৈরি হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE