ফাইল চিত্র।
বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা নিতে আধার বাধ্যতামূলক করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বিতর্ক হলেও সরকারের এই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিতে রাজি হল না সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের মতো দেশে সামাজিক প্রকল্পগুলির সুবিধা পেতে কেন্দ্র আধার কার্ডের শর্ত চাপাচ্ছে কেন, তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। এই উদ্বেগকে সামনে রেখে মামলা হয়েছে আদালতে। তবে সুপ্রিম কোর্টে মোদী সরকার আশ্বাস দিয়েছে, আধার নিয়ে এই পদক্ষেপে কাউকে বঞ্চিত করা হবে না। এই পরিস্থিতিতে এ দিন বিচারপতি এ এম খানউইলকার ও বিচারপতি নবীন সিংহ মামলার আবেদনকারীদের জানিয়েছেন, ‘‘শুধু আশঙ্কার ভিত্তিতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া যাবে না। আপনারা এক সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। যদি কেউ বঞ্চিত হয় তো আদালতে জানাবেন।’’
কেন্দ্রের তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা শীর্ষ আদালতে জানান, যদি কারও আধার কার্ড না-ও থাকে, সামাজিক প্রকল্পগুলির সুবিধা তিনি পেতে পারেন। এর পরেই শীর্ষ আদালত বলেছে, ‘‘ভারত একটি গণতান্ত্রিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্র। আর এ দেশের সরকারই আশ্বাস দিয়েছে, সামাজিক প্রকল্পগুলির সুবিধা থেকে কাউকে বঞ্চিত করা হবে না। এখনও পর্যন্ত বিকল্প পরিচয়পত্রেও কাজ চলছে।’’
এ দিন কেন্দ্র গত ৮ ফেব্রুয়ারির সরকারি বিজ্ঞপ্তির প্রসঙ্গ তুলে ধরে। যেখানে জানানো হয়, আধার না থাকলেও গণবণ্টন ব্যবস্থার সুবিধা মিলতে পারে। এ জন্য ভোটার পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, প্যান কার্ড ব্যবহার করা যাবে। মেটার যুক্তি, ‘‘এর অর্থ হল, সুবিধা পেতে পরিচয় দিতে হবে। ভুয়ো ব্যক্তিকে সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে না।’’ কেন্দ্র আদালতে জানিয়েছে, অন্তত ১০ ধরনের পরিচয়পত্র ব্যবহার করে সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা নেওয়া যাবে। তবে সুবিধাভোগীকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই আধার কার্ডের ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy