নোট বাতিল নিয়ে ফের সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্র এবং আরবিআই। দু’সপ্তাহ সময়সীমা বেঁধে দিল শীর্ষ আদালত। যাঁরা বাতিল হয়ে যাওয়া ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট এখনও পর্যন্ত জমা দিতে পারেননি, তাঁদের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে জানাতে হবে। এমনই নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণার পরেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পুরনো নোট জমা না নেওয়ায় কেন্দ্র এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (আরবিআই)-এর কাছে কয়েক দিন আগেই কৈফিয়ত চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। মার্চ মাসের শুরুর দিকে এ নিয়ে নোটিস জারি করেছিল শীর্ষ আদালত। ওই নোটিসে কেন্দ্র এবং আরবিআইকে সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন ছিল, ঘোষিত সময়সীমা এখনও অতিক্রম না হাওয়া সত্ত্বেও কেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কে পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট জমা নেওয়া হচ্ছে না? মার্চের ১০ তারিখের মধ্যেই তার জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কর্মস্থলে যৌন হেনস্থা: অভিযোগকারিণীকে ছুটি দিতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থায়
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর প্রশ্ন তোলেন, নোট বাতিলের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেছিলেন, ২০১৬-র ৩০ ডিসেম্বরের পর থেকে কোনও ব্যাঙ্কে আর পুরনো নোট জমা দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র আরবিআই-এর বিভিন্ন অফিসে তা জমা দেওয়া যাবে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত সেই সুবিধা পাবেন দেশের মানুষ। কিন্তু বাস্তবে হয় তার উল্টো। ৩০ ডিসেম্বর অতিক্রান্ত হতেই আরবিআই জানিয়ে দেয়, পুরনো নোট জমা নেবে না তারা। শুধুমাত্র এনআরআই-দের ক্ষেত্রেই এই বিশেষ ছাড় রয়েছে। বাতিল নোট নিয়ে আরবিআইয়ে হাজির হয়েও কাজ হয়নি। হয়রানির শিকার হতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
আরবিআইয়ের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই মামলারই শুনানি ছিল এ দিন। এরই সঙ্গে শীর্ষ আদালত প্রশ্ন তোলে, যে সব মানুষ ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে পুরনো নোট জমা দিতে পারেননি, তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন? একটি নতুন নোটিস জারি করে কেন্দ্র এবং আরবিআইয়ের কাছ থেকে জবাব তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী শুনানি ১১ এপ্রিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy