বাজিতে নিষেধাজ্ঞা তখনই রূপায়ণ সম্ভব, যখন সদিচ্ছা থাকবে রাজনৈতিক শিবিরেও, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।—প্রতীকী ছবি/ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নিয়ে তুমুল হইচই দেশে। দিল্লিকে এ বারের দিওয়ালিতে বাজি-মুক্ত রাখতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। ১ নভেম্বর পর্যন্ত তাই বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। দিল্লিতে এবং সংলগ্ন শহরগুলিতে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ। সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়কে অনেকেই স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু এই রায়ের বিরুদ্ধেও সরব অনেকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছে সেই ঝড়। দীপাবলি হিন্দুদের উৎসব বলেই বাজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পেরেছে সুপ্রিম কোর্ট, অন্য কোনও ধর্মের উৎসবের ক্ষেত্রে এমন নিষেধাজ্ঞা জারি সম্ভব হত না— এমন মন্তব্যও ভেসে বেড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আনন্দবাজার ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে তাই আলোচনার আয়োজন হল সোশ্যাল মিডিয়াতেই। সুপ্রিম কোর্ট দিল্লিতে বাজি বিক্রির উপর ১ নভেম্বর পর্যন্ত যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তার আইনি বৈধতা এবং প্রয়োজনীয়তা সংক্রান্ত বিষয়ে বিশদ আলোচনায় অংশ নিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী তথা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা গীতানাথ গঙ্গোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: ‘ভারতীয় শ্রমিকদের ঘাম-রক্ত দিয়ে গড়া তাজমহল’
আরও পড়ুন: ‘শুধু তাজ কেন! সংসদ, রাষ্ট্রপতি ভবনও গুঁড়িয়ে দেওয়া হোক তবে’
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা যাঁরা করেছেন, তাঁরা যে সকলেই সাধারণ নাগরিক, তা কিন্তু নয়। সরাসরি সুপ্রিম কোর্টকে আক্রমণ না করলেও, বাজির উপর বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে টুইটারে সরব হয়েছেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়। কলকাতার মেয়ার তথা পশ্চিমবঙ্গের দমকল মন্ত্রীও দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর ‘পরম্পরা’র পক্ষে মুখ খুলেছেন। তাই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত পরিবেশ দূষণ রুখতে বাজির পোড়ানোয় যে বিধিনিষেধ আনতে চাইছে, দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে কি সেই বিধিনিষেধের রূপায়ণ ঘটানোর সদিচ্ছা আদৌ রয়েছে? গীতানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘যে কোনও প্রগতিশীল আন্দোলনের সাফল্যের জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা অত্যন্ত জরুরি। রাজনীতিকদের মধ্যে দূষণ সংক্রান্ত সচেতনা যত দিন না আসছে, তত দিন দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনা বেশ কঠিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy