Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
National News

মসুলে নিখোঁজ ভারতীয়েরা মৃত বলে প্রমাণ মেলেনি, সংসদে সুষমা

বছর তিনেক আগে ইরাকে আইএসের হাতে বন্দি হন ৪০ জন ভারতীয়। পরে তাঁদের মধ্যে হরজিৎ মাসিহ নামে এক জনের খোঁজ মেলে। তিনি দাবি করেন, বাকি ৩৯ জনকে আইএস জঙ্গিরা খুন করেছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার সে কথা মানতে রাজি হয়নি। বরং নানা সূত্রে ওই ভারতীয়দের বেঁচে থাকার খবরই পাওয়া গিয়েছে বলে বার বার দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক।

সংসদ অধিবেশনে সুষমা স্বরাজ। ছবি: পিটিআই

সংসদ অধিবেশনে সুষমা স্বরাজ। ছবি: পিটিআই

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৭ ১৬:১২
Share: Save:

ইরাকে অপহৃত ৩৯ জন ভারতীয়ই বেঁচে আছেন বলে বার বার দাবি করে এসেছে বিদেশ মন্ত্রক। বুধবার সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন চলার সময়েও এই কথাই জোর দিয়ে বললেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তাঁর কথায়: ‘‘ইরাকের মসুলে নিখোঁজ ভারতীয়েরা যে মৃত, সে বিষয়ে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোনও রকম তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই কারওকে মৃত বলা পাপ।’’

আরও পড়ুন: দেশে দু’বছরে ৪১ শতাংশ বেড়েছে হেট ক্রাইম, শীর্ষে উত্তরপ্রদেশ, দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ

বছর তিনেক আগে ইরাকে আইএসের হাতে বন্দি হন ৪০ জন ভারতীয়। পরে তাঁদের মধ্যে হরজিৎ মাসিহ নামে এক জনের খোঁজ মেলে। তিনি দাবি করেন, বাকি ৩৯ জনকে আইএস জঙ্গিরা খুন করেছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকার সে কথা মানতে রাজি হয়নি। বরং নানা সূত্রে ওই ভারতীয়দের বেঁচে থাকার খবরই পাওয়া গিয়েছে বলে বার বার দাবি করেছে বিদেশমন্ত্রক। ইতিমধ্যেই নিখোঁজ ভারতীয়দের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন বিদেশমন্ত্রী। নিখোঁজদের খুঁজে বার করা হবে বলে তাঁদের পরিবারকে আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।

এ দিন সংসদে সুষমা জানান, নিখোঁজদের মৃত বলে ঘোষণা করার আগে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণের দরকার হয়। তাঁর কথায়: ‘‘আজ আমি যাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করব, আগামিকাল তাঁরা যদি আমার সামনে এসে দাঁড়ান তা হলে কী জবাব দেব?’’ সুষমা জানিয়েছেন, পূর্ব মসুল ইরাকি সেনা দখল করেছে। সেখানে এখনও বাড়়িঘর থেকে বিস্ফোরক সরানোর কাজ চলছে। ফলে, এখনও ওই ভারতীয়দের সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE