নিহত বিশালজি। ছবি: ঝাড়খণ্ড পুলিশের সৌজন্যে।
যৌথ বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত্যু হল জঙ্গিনেতা কুন্দন পাহনের ‘ডানহাত’ বিশালজির। আজ ভোরে খুঁটির লিম্বা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। জঙ্গি-দমন অভিযানের ক্ষেত্রে এটিকে বড় সাফল্য হিসেবে দাবি করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ।
পুলিশকর্তারা জানিয়েছেন, আড়াল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় নাশকতা ছড়াচ্ছে কুন্দন। খুঁটিতে কুন্দনের ‘জঙ্গি-সাম্রাজ্য’ সামলাচ্ছিল বিশালজি। বুণ্ডু, অড়কি, তামাড়- সহ বিস্তীর্ণ জায়গায় সে রীতিমতো ত্রাস হয়ে উঠেছিল। মাওবাদীদের খোঁজে সেখানে অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী। লিম্বার কাছে একটি স্কুলে জঙ্গিরা জড়ো হয়েছে বলে খবর মিলেছিল। কিন্তু, ওই জঙ্গিদের মধ্যে যে বিশালজিও রয়েছে তা প্রথমে টের পাওয়া যায়নি। রাঁচির এসপি (গ্রামীণ) সুরেন্দ্রকুমার ঝায়ের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী, কোবরা, ঝাড়খণ্ড সশস্ত্র পুলিশের জওয়ানরা সেখানে হানা দেয়। সুরেন্দ্র বলেন, “জঙ্গিদের ডেরা ঘিরে ফেলেছিলাম। ওরা গুলি চালাতে থাকে। বন্ধ করতে বললেও কথা শোনেনি। পাল্টা জবাব দিই। কয়েক জন পালায়। জঙ্গলে তল্লাশি চালিয়ে এক জঙ্গির দেহ মেলে। পরে জানতে পারি সে-ই বিশালজি।” ঘটনাস্থল থেকে একটি এ কে ৪৭ রাইফেল-সহ অন্য অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহত জঙ্গিনেতার বিরুদ্ধে খুন, তোলাবাজি, লুঠপাট-সহ প্রায় ৫০টি মামলা রয়েছে। অভিযানের সময় জঙ্গিদের গুলিতে এক জওয়ানও জখম হন। এই সাফল্যে খুশি রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন। সুরেন্দ্রকে পুরস্কৃত করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যসচিব সজল চক্রবর্তী।
এ দিকে, গিরিডির জঙ্গল থেকে প্রচুর অস্ত্র আটক করা হয়েছে। পরেশনাথ পাহাড়ের কাছে জঙ্গল-ঘেরা মোহনপুর গ্রামে নিরাপত্তা বাহিনী তল্লাশি চালিয়েছিল। জেলার এসপি ক্রান্তিকুমার ঘরদেশি জানান, সেখান থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ডিটোনেটর, মাওবাদী পোশাক মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy