ইশরাত জাহান।
সন্দেহের আর কোনও অবকাশ রইল না।
এক কট্টর সন্ত্রাসবাদীই আর এক জঙ্গির আদত পরিচয়টা ফাঁস করে দিল।
কট্টর সন্ত্রাসবাদী ডেভিড কোলম্যান হেডলি আদালতে স্পষ্টই জানিয়ে দিল, ২০০৪ সালে গুজরাতে পুলিশের সঙ্গে গুলি-যুদ্ধে নিহত তরুণী ইশরাত জহান ছিলেন পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লসকর-ই-তইবার সক্রিয় সদস্য। এক জন দক্ষ আত্মঘাতী জঙ্গি। ইশরাত এর আগেও বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজকর্মে জড়িত ছিলেন। পাকিস্তানের ভেতরে ও বাইরে।
২৬/১১-র মুম্বই হামলা মামলার শুনানিতে মার্কিন মুলুকের কোনও এক অজ্ঞাত জায়গা থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া তাঁর সাক্ষ্যে সরকারি কৌঁসুলির প্রশ্নের জবাবে হেডলি জানিয়েছেন, লসকরের আত্মঘাতী মহিলা জঙ্গিদের মধ্যে ইশরাত ছিলেন অত্যন্ত দক্ষ।
মুম্বই হামলার পরিকল্পনার কতটা আঁচ তিনি পেয়েছিলেন, সে সম্পর্কে কৌঁসুলির প্রশ্নের জবাবে হেডলি মুম্বইয়ের আদালতকে জানিয়েছেন, ২৬/১১ হামলার কয়েক দিন আগেই তাঁর সঙ্গে অনেক ক্ষণ কথা হয়েছিল লশ্করের কম্যান্ডার জাকিউর রহমান লকভির। হেডলির সঙ্গে কথা হয়েছিল লসকরের সেনাধ্যক্ষ মুজাম্মিল ভাটেরও। সেই সময়েই হেডলি জানতে পেরে গিয়েছিলেন, মুম্বইয়ে বড়সড় হামলা করতে চলেছে লসকর-ই-তইবা।
আদালতকে হেডলি জানিয়েছে, ‘‘ওই হামলার ঘটনার পরেও আমার কথা হয়েছিল লশ্করের সেনাধ্যক্ষ মুজাম্মিল ভাটের সঙ্গে। ওই সময়েই মুজাম্মিল আমাকে জানায় যে, অপারেশন চালানোর সময় ওদের বড় একটা ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। গুলি-যুদ্ধে ওদের মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গিদের মধ্যে সবচেয়ে দক্ষ ইশরাত জহানের মৃত্যু হয়েছে। সেই ঘটনাটা কোথায় ঘটেছে, মুজাম্মিল আমাকে সেই জায়াগাটার নামও বলেছিল। এখন অবশ্য সেটা আমি ভুলে গিয়েছি। ইশরাত যে লসকরের আত্মঘাতী জঙ্গি ছিল, আর সেটা যে আমি জানতাম, তা এর আগেও আমি বলেছি। তবে আদালতে এই প্রথম ইশরাতের নামটা বললাম।’’
ওই ঘটনার পর নিহত ১৯ বছর বয়সী ইশরাত জহান সম্পর্কে একটি মহল থেকে বলা হয়েছিল, তিনি ছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। কেউ কেউ তাঁকে ‘শহিদ’ বলতেও দ্বিধা করেননি।
আদালতে কট্টর সন্ত্রাসবাদী হেডলির দেওয়া সাক্ষ্যের বয়ান নিয়ে এ দিন নতুন করে রাজনৈতিক মহলে চাপান-উতোর শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিজেপি বলেছে, যাঁরা ইশরাত জহানকে ‘শহিদ’ বানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা তাঁদের ভুলের জন্য এ বার প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy