Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

বিপর্যস্ত অসম, বিহারে নামল সেনা

আজ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের নেতৃত্বে বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়। সোনোয়াল মরিগাঁওয়ে এ দিন বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যান। রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বাহুল্য বর্জিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। গুয়াহাটির মূল সরকারি অনুষ্ঠানে ‘অতিথি আপ্যায়ন’ পর্বও ছেঁটে ফেলা হয়েছে।

জল-যন্ত্রণা: বন্যায় বিপর্যস্ত বিহার। সরকারি হিসেবে মৃত ২৪ জন। ত্রাণে সেনার সাহায্য নিয়েছে প্রশাসন। আরারিয়া জেলায় বাঁচার রসদ জোগানোর চেষ্টার চিত্র । সোমবার। ছবি: পিটিআই।

জল-যন্ত্রণা: বন্যায় বিপর্যস্ত বিহার। সরকারি হিসেবে মৃত ২৪ জন। ত্রাণে সেনার সাহায্য নিয়েছে প্রশাসন। আরারিয়া জেলায় বাঁচার রসদ জোগানোর চেষ্টার চিত্র । সোমবার। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
গুয়াহাটি ও পটনা শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৭ ০৪:১১
Share: Save:

দ্বিতীয় দফার বন্যায় অসমে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়াল ২৩। জলে ভেসে গিয়ে নিখোঁজ ১০ জন। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পশু মৃত্যুর সংখ্যাও। কাজিরাঙার ৯৫ শতাংশই জলের তলায়। ট্রেন লাইন ও জাতীয় সড়ক জল-কবলিত হওয়ায় উত্তর-পূর্বের সঙ্গে দেশের অন্য অংশের যোগাযোগ মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হয়েছে। কলকাতাগামী বিমানের ভাড়া লাফিয়ে লাফিয়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তাতেও আসন অমিল।

আরও পড়ুন: কাজিরাঙার বানভাসি গ্রামে ঘুরে বেড়াচ্ছে গন্ডার, দেখুন ভিডিও

আজ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের নেতৃত্বে বন্যা পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়। সোনোয়াল মরিগাঁওয়ে এ দিন বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যান। রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান বাহুল্য বর্জিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। গুয়াহাটির মূল সরকারি অনুষ্ঠানে ‘অতিথি আপ্যায়ন’ পর্বও ছেঁটে ফেলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে বন্যার সম্পর্কে আজও খোঁজখবর করেছেন। অন্য দিকে, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদীকে ফোন করে কিষাণগঞ্জে আটকে পড়ে অসমমুখী রেলযাত্রীদের সাহায্য করার জন্য সর্বানন্দ অনুরোধ করেছেন।

বন্যায় বেহাল উত্তর বিহার এবং সীমাঞ্চলের ১২টি জেলা। সরকারি হিসেবে আজ পর্যন্ত ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ হেলিকপ্টারে পূর্ণিয়া, আরারিয়া, কিষাণগঞ্জ ও কাটিহার ঘুরে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে রীতিমতো আতঙ্কে ছিল বিহার প্রশাসন। তার ওপরে নেপালের টানা বৃষ্টিও রাজ্য প্রশাসনকে ইদ্বেগে ফেলেছিল। আগাম সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গত কাল রাত থেকেই সেই প্রশাসনের আশঙ্কা সত্যি হতে শুরু করে। কোশী, গণ্ডক, মহানন্দার জল বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করে। এনডিআরএফের ১০টি দল বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণের কাজে নেমেছে। এসডিআরএফের দলও কাজ শুরু করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু এলাকায় সেনাবাহিনীকেও নামানো হয়েছে। বিষয়টি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলির সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। কেন্দ্রের তরফে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

কাটিহারের মহানন্দা বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে বাঁধ মেরামতে সামিল হয়েছে সেনা। অন্য দিকে, দ্বারভাঙার ঘনশ্যামপুরে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা জল-কবলিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE