প্রতীকী ছবি।
ম্যানিলায় যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠক চলছে, ঘটনাচক্রে ঠিক সেই সময়েই একটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট প্রকাশ করল মার্কিন বিদেশ দফতরের ব্যুরো অ্যান্ড কালচারাল অ্যাফেয়ার্স। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে ২০১৭ সালে (অর্থাৎ ট্রাম্প জমানায়) ১২ শতাংশ বেড়েছে আমেরিকায় পড়তে যাওয়া ভারতীয় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা।
ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরেই ভিসা নীতি নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করায় ভারত-মার্কিন সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়েছিল। ট্রাম্পের লক্ষ্য ছিল এইচ১বি ভিসা সংক্রান্ত বিধি কঠোর করা, যার ফলে ভারতীয় পেশাদারদের জন্য সে দেশে দেওয়াল উঠে যায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের বক্তব্য ছিল, এই নীতির প্রভাব পড়বে সামগ্রিক ভাবে। ভারতীয় পড়ুয়াদেরও সে দেশে পড়তে যাওয়ায় বিধিনিষেধ আরোপিত হবে।
বিভিন্ন আলোচনায় নয়াদিল্লি ওয়াশিংটনকে বলেছে, ভারতীয় পেশাদার এবং শিক্ষার্থীরা সে দেশের সম্পদ। আমেরিকার অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তাঁদের অবদান ইতিহাসসিদ্ধ। এইচ১বি ভিসা প্রত্যাহার সংক্রান্ত নীতিকে আইনে পরিণত করা নিয়ে নড়াচড়া শুরু হলেও এই নিয়ে যে খুব দ্রুত সিদ্ধান্ত হবে না, সে কথা বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বারবার জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আমেরিকার সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্কের উন্নতির ছবিটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আজও ট্রাম্প মুক্তকণ্ঠে ভারতীয় নেতৃত্বের প্রশংসা করে জানিয়েছেন, তাঁরা সম্পর্ককে আরও বিস্তৃত করতে চান। এই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মার্কিন বিদেশ দফতরের রিপোর্টটিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy