তিহাড় জেল। ছবি: সংগৃহীত।
চুরি, ছিনতাই এবং অন্য অপরাধমূলক কাজের জন্য গত ২৩ বছরে ২১ বার জেল খেটেছেন। তিহাড় জেলই এক সময় ‘ঘর বাড়ি’ হয়ে উঠেছিল আক্রমের। সেই আক্রমই এখন জেলের ‘স্টার পারফর্মার’!
না, অপরাধের জন্য নয়, বরং অপরাধ থেকে বেরিয়ে আসার আলো দেখাতে নিজেই একটা নাটকের দল তৈরি করে ফেলেছেন। আর দলের হিরো এখন আক্রম। শুধু তাই নয়, তিহাড় জেলের বন্দিদের কাছেও ‘হিরো’ সে।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষে পলানী, দলের মাথায় পনীর: নয়া ফর্মুলার পথে এডিএমকে
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি কাল লাদাখে, আজ থেকে রাওয়ত
বার বার অপরাধের জন্য যাকে জেলের ঘানি টানতে হয়েছে, সেই আক্রমের এমন পরিবর্তন কী ভাবে? আসলে জেলে থাকাকালীনই বন্দিদের জন্য অভিনয়ের যে ওয়ার্কশপ হত, তাতে অংশ নেন আক্রম। তিহাড় জেলের ‘কলা অভিযান’ই নতুন দিশার পথ দেখায় আক্রমকে। জেল থেকে ছাড়া পেয়েই ঠিক করেন নিজের প্রতিভাকে মেলে ধরতে হবে। শুরু হয় জেলের বাইরের লড়াই। বেশ কিছু ছাত্রছাত্রীও পেয়ে যান। তারা অবশ্য সহায়সম্বলহীন। তাদের নিয়েই শুরু হয় আক্রমের সফর। এখনও তিহাড় জেলে যান, কিন্তু আর বন্দি হিসাবে নয়। এক জন ‘স্টার পারফরমার’ হয়ে। জেলের বন্দিদের অনুপ্রেরণা এখন এই আক্রম। আক্রম যে নাটকের দলটা চালান, তাতে বিভিন্ন জায়গায় অনুষ্ঠান করে ভালই আয় হয়।
আক্রমের মতো তিহাড় জেলের আরও এক প্রাক্তন বন্দি সুরেন্দ্র সোনি জানান, জেল থেকে বেরিয়েই তিনি নাচের ক্লাসে ভর্তি হন। তার পর থেকে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। আক্রম, সুরেন্দ্রর মতো ধীরজ বজাজও ‘কলা অভিযান’ থেকে গান শেখার পর এখন নিজে একটি ইউটিউবে শো করেন। বলেন, “প্রত্যেক শো-এর জন্য দেড় লক্ষ টাকা নিই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy