Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

আফরাজুল: লড়াই সংসদেও

সামনেই শীতকালীন অধিবেশন। তখন আফরাজুলের খুনের ঘটনা নিয়ে সংসদ অচল করতে চাইছে তৃণমূল। শনিবার মালদহের কালিয়াচকে আফরাজুল খানের গ্রাম সৈয়দপুরে দাঁড়িয়ে এই কথাই জানিয়ে এলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

জয়ন্ত সেন
মালদহ শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০১
Share: Save:

সামনেই শীতকালীন অধিবেশন। তখন আফরাজুলের খুনের ঘটনা নিয়ে সংসদ অচল করতে চাইছে তৃণমূল। শনিবার মালদহের কালিয়াচকে আফরাজুল খানের গ্রাম সৈয়দপুরে দাঁড়িয়ে এই কথাই জানিয়ে এলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। একই সঙ্গে তাঁরা যে এই বিষয়ে রাজ্যেও বিজেপি-বিরোধী প্রচার বাড়াতে চান, তা-ও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এ দিন একাধিক শহরে মিছিলের ঘটনায়।

আফরাজুলের স্ত্রী গুলবাহার বিবির কাছে এর আগে গিয়েছিলেন মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এ দিন যে তিন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় ও কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও শুভেন্দু অধিকারী সৈয়দপুর যাবেন, সেটা আগে থেকেই ঘোষণা করা হয়। এ দিন তাঁরা যখন সৈয়দপুর গিয়ে পৌঁছন, বাড়ির সামনে তখন ভিড়।

সাত ফুট বাই পাঁচ ফুটের ঘরে সটান ঢুকে পড়েন কাকলি। গুলবাহারকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন।’’ অন্যরাও গুলবাহারের সঙ্গে কথা বলেন। বিধবাভাতার অনুমোদনপত্র এবং দলের তরফে দু’লক্ষ টাকা তুলে দেন তাঁর হাতে।

বাড়ির সামনে মঞ্চ বাঁধাই ছিল। সেখানে সভা করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের নিশানায় ছিল বিজেপি। সুদীপ তখনই জানান, ১৮ তারিখ থেকে অধিবেশন শুরু হলে অন্য দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে সংসদ অচল করবেন তাঁরা। বিষয়টি সংসদে তোলার কথা এ দিন গুলবাহারদের জানিয়ে আসেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও।

রাজ্যকে আরও যে বিষয়টি চিন্তায় রেখেছে, তা হল রাজস্থানে পশ্চিমবঙ্গের শ্রমিকদের নিরাপত্তা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুক্রবারই ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ ফোনে কথা বলেন রাজস্থানের ডিজি ও পি গলহোত্রের সঙ্গে। এ দিন এলাকার মানুষ সুদীপদের জানান, শুধু সৈয়দপুরেরই দু’শো জন কর্মসূত্রে রয়েছেন রাজস্থানের রাজসামন্দে। তাঁদের পরিবার আতঙ্কিত। সরকার দাবি করেছে, রাজস্থান নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত শম্ভুলালকে উপযুক্ত শাস্তি দিতে চাপ বাড়ানো হবে বলেও জানিয়েছে রাজ্য।

যে মেয়েটিকে বাঁচাতে এই খুন, তিনি শম্ভুর সব দাবি অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, ২০১০-এ মহম্মদ বাবলু শেখের সঙ্গে তিনি সৈয়দপুরে আসেন। দু’বছর পরে স্বেচ্ছায় ফিরেও যান। তাঁর দাবি, শম্ভু মোটেই তাঁকে উদ্ধার করেননি। বরং তাঁর নাম করে তাঁর মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এই বিষয়গুলি তুলেই বিজেপি-বিরোধী প্রচার বাড়াতে চায় তৃণমূল। দিলীপ ঘোষ রাজনীতি দেখলেও তৃণমূলের অনেকে বলেন, দ্রুত গুলবাহারদের পাশে দাঁড়িয়ে ইতিবাচক বার্তাই দিয়েছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE