জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকারকে নিয়ে আবেগ-অস্ত্রে ত্রিপুরায় সওয়ার হতে চাইছে তৃণমূল!
রিও অলিম্পিকসে দীপার তাক লাগানো কৃতিত্বকে কুর্নিশ জানাতে তাঁকে সংবর্ধনা দিতে চায় তৃণমূল। সেই জন্যই আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ত্রিপুরা যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। দীপার বাড়িতে গিয়েই তাঁকে তৃণমূলের তরফে সংবর্ধনা দেওয়া হবে বলেই আপাতত ঠিক হয়েছে।
রিও-র সাফল্যে দীপাকে ইতিমধ্যেই অভিনন্দন জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রিও থেকে বাড়ি ফেরার পরে দীপার বাবার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে মুকুলেরও। এ বার ত্রিপুরাবাসীর কাছে তৃণমূলের গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে তুলতে দীপা-আবেগকেই হাতিয়ার করতে চাইছে তৃণমূল।
ত্রিপুরা সরকারের তরফে দীপাকে যে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে, তা নিছকই সাদামাঠা। এমনটাই অভিযোগ করেছে তৃণমূল। দীপার একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বুধবার বলেই ফেলেছেন, ‘‘আইপিএল জেতার পরে কলকাতায় কেকেআর-কে ইডেনে এনে কী জমকালো অনুষ্ঠান হয়েছিল, সকলের মনে আছে। দীপা এখানকার মেয়ে হলে চোখ ধাঁধানো সংবর্ধনা পেতেন!’’
ত্রিপুরায় ২০১৮ সালের বিধানসভা ভোটের আগে দীপা-আবেগকেও ব্যবহার করে ত্রিপুরাবাসীর মন জয়ে তৎপর হয়েছেন মুকুলেরা। ত্রিপুরার বাম সরকারের মোকাবিলায় দীপা-উন্মাদনা কাজ করবে বলেই আশা তৃণমূলের। ত্রিপুরা সরকার যে যথোচিত সংবর্ধনা দীপাকে দেয়নি, তা-ও ত্রিপুরায় প্রচার করতে চায় তৃণমূল।
কিন্তু এই সংবর্ধনায় কী কী স্মারক-উপহার দেওয়া হবে দীপাকে, তা নিয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি মুকুল। তবে সংবর্ধনার দিন শুধু মুকুল নন, তাঁর পাশাপাশি দীপার বাড়িতে ত্রিপুরার অন্যান্য তৃণমূল নেতাদেরও উপস্থিত থাকার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy