Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Transgender

লিঙ্গ পরিবর্তন করাতে গিয়ে প্রেম, বিয়ে এবং সন্তানের অপেক্ষায় ২ রূপান্তরকামী

তিন বছর আগে মুম্বইয়ের একটি ক্লিনিকে প্রথম আলাপ আরভ আপ্পুকুট্টান এবং সুকন্যা কৃষ্ণার। বছর ছেচল্লিশের আরভ শরীরে নারী হলেও লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ হতে চান। আর সুকন্যা ঠিক তার উল্টো। আরভ জানিয়েছেন, ক্লিনিকের ওয়েটিং রুমে তাঁদের প্রথম দেখা।

সুকন্যা কৃষ্ণা (বাঁ দিকে) এবং আরভ আপ্পুকুট্টান। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

সুকন্যা কৃষ্ণা (বাঁ দিকে) এবং আরভ আপ্পুকুট্টান। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৭ ১২:২৯
Share: Save:

মনের বাঁধন সব সময়েই সমাজ এবং সংস্কারের অনেক ঊর্ধ্বে। সে কথাই ফের একবার প্রমাণ করে দেখালেন এক প্রেমিক যুগল। এঁরা দু’জনেই রুপান্তরকামী। প্রথম আলাপ মুম্বইয়ে লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অস্ত্রোপচার করাতে গিয়ে। সেখান থেকে বন্ধুত্ব এবং ধীরে ধীরে প্রেম। আইনি বাধা পেরিয়ে এখন দু’জনেই সাত পাকে বাঁধা পড়ার অপেক্ষায়।

আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টের এই রায় মুসলিম মহিলাদের জয়

তিন বছর আগে মুম্বইয়ের একটি ক্লিনিকে প্রথম আলাপ আরভ আপ্পুকুট্টান এবং সুকন্যা কৃষ্ণার। বছর ছেচল্লিশের আরভ শরীরে নারী হলেও লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ হতে চান। আর সুকন্যা ঠিক তার উল্টো। আরভ জানিয়েছেন, ক্লিনিকের ওয়েটিং রুমে তাঁদের প্রথম দেখা। সমাজ ও পরিবারের চোখ রাঙানি এড়িয়ে তখন দু’জনেই এসেছেন তাঁদের স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে। ফলে চূড়ান্ত মানসিক টানাপড়েনে ভুগছেন দু’জনেই। সেখান থেকেই পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ জন্মায়। তাঁর কথায়, ‘‘অস্ত্রোপচারের জন্য ক্লিনিকে নিয়মিত যেতে হত। সেখানেই আলাপ সুকন্যার সঙ্গে। আমরা একে অপরকে পছন্দ করতাম।’’

আরও পড়ুন- মেয়েকে পরিচয় দিতে লড়বেন আদিবাসী মা

আইনি পথেই নিজেদের বিয়েকে স্বীকৃতি দিতে চান আরভ এবং সুকন্যা। তার আগে সরকারিভাবে কাগজে-কলমে অনেক বাধা পেরোতে হবে বলে জানিয়েছেন বছর একুশের সুকন্যা। সব সমস্যা মিটে গেলে কেরলে গিয়েই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চান তাঁরা। সুকন্যার কথায়, ‘‘সমাজে রুপান্তরকামীরা বরাবরই ব্রাত্য। বঞ্চিত হতে হয় তৃতীয় লিঙ্গদেরও। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগকেই ভিক্ষাবৃত্তি করতে হয়। কেউ আবার জড়িয়ে পড়েন দেহব্যবসায়। সন্তান নিয়েও রূপান্তরকামী দম্পতিদের অনেক সমস্যার মুখে পড়তে হয়।’’ তবে বিয়ের পর সন্তান দত্তক নিতে চান বলে জানিয়েছেন সুকন্যা। তিনি জানান, ‘‘আমরা আমাদের প্রেমকে স্বীকৃতি দিয়ে সমাজের কাছে একটা দৃষ্টান্ত তুলে ধরতে চাই। সবাইকে শোনাতে চাই আমাদের গল্প। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE