খগেন দাস। ফাইল চিত্র।
কলকাতায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক চলাকালীন আকস্মিক মৃত্যু হল ত্রিপুরা বামফ্রন্টের আহ্বায়ক খগেন দাসের। তাঁর আচমকা মৃত্যুতে স্তম্ভিত সিপিএম নেতৃত্ব ত্রিপুরায় রাজ্য কমিটির বৈঠক এবং বিধানসভা ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার কাজ এক দিন পিছিয়ে দিয়েছেন।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে শনিবার ত্রিপুরার হয়ে বক্তা ছিলেন ৭৯ বছরের খগেনবাবু। আগরতলায় ফিরে গিয়ে দ্রুত রাজ্য কমিটি ও বামফ্রন্টের বৈঠক করে প্রার্থী তালিকা যে প্রকাশ করতে হবে, তা নিয়ে কলকাতাতেও দলীয় সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। বৈঠক মিটে যাওয়ার পর রাতে ত্রিপুরার নেতারা ফিরে যান প্রিটোরিয়া স্ট্রিটের ত্রিপুরা ভবনে। সিপিএম সূত্রে খবর, ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ পাশের ঘরে ত্রিপুরার প্রাক্তন সাংসদ বাজুবন রিয়াংকে বেল বাজিয়ে ডাকেন খগেনবাবু। বলেন, তাঁর শরীর খারাপ লাগছে। বাজুবন আরও কয়েক জন নেতাকে খবর দেন। দ্রুত তাঁকে ত্রিপুরা ভবনের অদূরে এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ওই সামান্য সময়েই তাঁর লড়াই শেষ।
পিস হেভ্ন থেকে রবিবার সকালে আলিমুদ্দিনে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন সাংসদ ও বিধায়ক খগেনবাবুর মরদেহ। সেখানেই প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান সীতারাম ইয়েচুরি, প্রকাশ কারাট, মানিক সরকার, বৃন্দা কারাট, বিমান বসুরা। বিকালের বিমানে আগরতলা নিয়ে গিয়ে বিধানসভা ও সচিবালয় ভবন ঘুরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাংর বাড়িতে। বিধানসভায় খগেনবাবুকে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায়নি বিরোধী পক্ষের কোনও বিধায়ককে। তবে তাঁর বাড়িতে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বিপ্লব দেব বলেন, ‘‘খগেনবাবুর মতো শিক্ষিত নেতা এখনকার রাজনীতিতে বিরল।’’ সিপিএমের রাজ্য দফতর ঘুরে রাতে দেহ রাখা হয়েছে দলের সদর মহকুমা দফতরে। আগরতলা মেডিক্যাল কলেজে আজ, সোমবার তাঁর দেহ দান করা হবে।
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক ইয়েচুরি বলেন, ‘‘খগেনবাবুর মৃত্যুতে গোটা কেন্দ্রীয় কমিটিই শোকস্তব্ধ। তাঁরই প্রার্থী ঘোষণা করার কথা ছিল। রাজ্য কমিটি ও বামফ্রন্ট মঙ্গলবার বৈঠক করে সেই কাজ করবে।’’ প্রসঙ্গদ, ২০১০ সালে কলকাতায় কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের পরেই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন ডব্লিউ বরদারাজন। পরে চেন্নাইয়ের লেকে তাঁর মরদেহ মেলে। খগেনবাবুর আচমকা প্রয়াণ ঘটল কলকাতায় কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠকের মাঝেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy