প্রতীকী ছবি।
স্কুলের বেতন বাকি, তাই টেনে-হিঁচড়ে খুলে নেওয়া হল দুই ছাত্রীর পোশাক। এমনই নিন্দনীয় ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিহারের বেগুসরাই জেলার বীরপুর গ্রামে।
অভাবের সংসার। নুন আনতে পাম্তা ফুরোয়। তবু মেয়েদের পড়াশোনা শেখাতে চেয়েছিলেন বাবা। সে কারণে দুই মেয়েকে ভর্তি করেছিলেন বেগুসরাইয়ের বি আর অ্যাকাডেমিতে। কিন্তু, দুই মেয়েকে যে এমন হেনস্থার মুখে পড়তে হবে তা বোধহয় ভাবতেও পারেননি তিনি।
অভিযোগ, শুক্রবার দুই মেয়েকে স্কুল থেকে আনতে গিয়েছিলেন তাঁদের বাবা। তখন তাঁর ছোট মেয়ে এসে খবর দেয়, তাঁকে স্কুলশিক্ষিকা অঞ্জনা কুমারী ডাকছেন। তিনি ওই দুই ছাত্রীর বাবার সঙ্গে দেখা করতে চান। সেই সময় ওই শিক্ষিকা তাঁকে তাঁর মেয়েদের স্কুল ইউনিফর্ম বাবদ টাকা মিটিয়ে দিতে বলেন। ছাত্রীদের বাবা কথা দেন যে, জুন মাসের মধ্যেই ইউনিফর্ম বাবদ সমস্ত টাকা মিটিয়ে দেবেন। তাঁর কথায় কোনও ভাবেই রাজি হননি ওই শিক্ষিকা। অভিযোগ, সকলের সামনে পোশাক খুলে ফেলার জন্য ওই দুই ছাত্রীকে বাধ্য করা হয়। এর পর তিনি স্কুল পরিচালন সমিতির প্রধান এন কে ঝা-কে গোটা ঘটনাটি জানান। তবে এন কে ঝা-ও ওই দুই ছাত্রীকে অর্ধনগ্ন অবস্থাতেই বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন বলে অভিযোগ। ঘটনার দিনই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন: নাগাল্যান্ড থেকে অস্ত্র আসছে দার্জিলিঙে, রাজ্যকে জানিয়েছিলেন গোয়েন্দারা
ওই ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে অঞ্জনা কুমারী এবং এন কে ঝা-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিহারের শিক্ষা দফতরের অশোক চৌধুরী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। একই সঙ্গে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy