Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

বৈঠকে উদ্যোগী রাষ্ট্রপুঞ্জ

জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরে রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে এটাই ছিল গুতেরেজের প্রথম সাংবাদিক বৈঠক। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় নিয়ন্ত্রণরেখায় ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে।

সংবাদ সংস্থা
রাষ্ট্রপুঞ্জ শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৭ ০৩:৫৭
Share: Save:

কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ভারত-পাকিস্তান আলোচনা শুরুর চেষ্টাই তিনি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানালেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ। এবং সেই উদ্দেশ্যেই দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তিনি একাধিক বৈঠকে বসেছেন বলে মহাসচিবের বক্তব্য।

জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরে রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে এটাই ছিল গুতেরেজের প্রথম সাংবাদিক বৈঠক। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয় নিয়ন্ত্রণরেখায় ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন নিয়ে। কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে তিনি কোনও আলোচনার পথ খুঁজছেন কি না জানতে চাওয়া হলে হাসতে হাসতে মহাসচিব বলেন, ‘‘আপনাদের কী মনে হয়? আমি কেন পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিন বার, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দু’বার কথা বললাম ?’’ ভারত-পাক উত্তেজনা কমাতে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছিল গুতেরেজের বিরুদ্ধে। সেই প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘‘যার বিরুদ্ধে কোনও ‘কাজ না করার’ অভিযোগ ওঠে, তার পক্ষে এ তো যথেষ্ট সংখ্যক বৈঠক!’’

চলতি মাসের গোড়াতেই রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামের সম্মেলনের ফাঁকে মোদীর সঙ্গে কথা হয়েছিল গুতেরেজের। সন্ত্রাস রুখতে জোট বাঁধার উপরে জোর দিয়েছিলেন মোদী। এ দিন গুতেরেজ আর ভেঙে বলেননি। ভারত-পাক বৈঠকে মধ্যস্থতা করতে চাওয়ার কোনও ইঙ্গিতও তিনি দেননি। বরং আলোচনার পথে শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজার ডাক দেন দুই পড়শি দেশকে। গুতেরেজের মুখপাত্র স্টেফানে দুজারিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি শুধু বলেছেন, ওই অঞ্চলের পরিস্থিতির উপরে নজর রেখেছেন মহাসচিব।

ভারত বরাবরই বলে এসেছে, কাশ্মীর নিয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলবে না তারা। কাশ্মীর নিয়ে ভারতে পাক হাইকমিশনার আব্দুল বাসিত এক সংবাদপত্রকে বলেছেন, ‘‘ইসলামাবাদ মনে করে, সমাধানের যে রাস্তাটাকে জম্মু-কাশ্মীরবাসী গ্রহণযোগ্য মনে করবেন, একমাত্র সেটাই গ্রহণযোগ্য। অন্য যে কোনও বন্দোবস্ত তাড়াতাড়ি ভেঙে পড়বে।’’ এরই মধ্যে ইসলামাবাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে আফগানিস্তান নিয়ে পেন্টাগনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট। তাতে বলা হয়েছে, ‘তালিবান ও হক্কানি নেটওয়ার্কের মতো আফগান-কেন্দ্রিক জঙ্গি গোষ্ঠীগুলি পাক মাটিতে নিজেদের অবাধ কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। পাক সরকারের কিছু অংশের সমর্থনেই তারা ফুলেফেঁপে উঠছে।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE