মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন নেতা। কিন্তু তাঁর কাছে কোনও বৈধ কাগজপত্র ছিল না। বিজেপির জেলা স্তরের কর্মী প্রমোদ লোধিকে তাই কর্তব্যরত মহিলা পুলিশ অফিসার শ্রেষ্ঠা ঠাকুর জরিমানা করে গ্রেফতার করেন। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে।
কিন্তু মহিলা অফিসারের ‘ঔদ্ধত্য’ মোটেই ভাল চোখে নেননি বিজেপি নেতা। তাই বাগ্বিতণ্ডার মাত্রা চড়ে। জমা হয়ে যান আরও কিছু বিজেপি কর্মী। সেই বাদানুবাদের ভিডিও পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। তবে তাঁদের সামনে দাঁড়ানো সার্কেল অফিসার শ্রেষ্ঠা মোটেই দমবার পাত্রী নন। তিনি নিজের কাজ করে যাচ্ছেন। ভিডিওয় তাঁকে দৃঢ় ভাবে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘আপনি যান মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে লিখিত নির্দেশ নিয়ে আসুন যে পুলিশের গাড়ি পরীক্ষা করার কোনও অধিকার নেই। পুলিশ নিজের কাজ করতে পারবে না। পরিবারের লোকজনকে ভুলে আমরা রাতে কাজ করি। মজা করার জন্য নয়।’’
আরও পড়ুন: দিল্লিতে এ বার চালকহীন মেট্রো, তিন মাসের মধ্যেই চালু
এর সঙ্গেই শ্রেষ্ঠা বলেন, বিজেপি কর্মী প্রমোদ লোধির বিরুদ্ধে মামলায় জনজীবন বিপর্যস্ত করার অভিযোগও যোগ করবেন। পরে প্রমোদকে তিনি বলতে ছাড়েননি, ‘‘আপনার মতো বিজেপি কর্মীরা দলের নাম ডোবাচ্ছেন। আপনাদের আর কিছু দিনের মধ্যেই মানুষ বিজেপি-র গুন্ডা বলবে।’’ প্রমোদ প্রথম থেকেই পুলিশ অফিসার শ্রেষ্ঠার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছিলেন বলে অভিযোগ। ওই অফিসারের বক্তব্য, ‘‘উনি আমার সঙ্গে অভদ্রতা করেন। আর এক কনস্টেবলের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেন। আদালতে গিয়েও নাটক করেছেন! ওঁর বিরুদ্ধে আরও মামলা হবে।’’
দেখুন ভিডিও:
শ্রেষ্ঠার অফিসে এবং আদালতেও প্রমোদ যথেচ্ছ গন্ডগোল করেন বলে পরে জানা যায়। প্রমোদ আর তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গর আবার অভিযোগ, ‘‘ওই মহিলা অফিসার দু’হাজার টাকা ঘুষ চেয়েছিলেন। তা দেওয়া হয়নি বলেই এই গ্রেফতারি।’’ শ্রেষ্ঠা অবশ্য সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।
কিছু দিন আগেই চারু নিগম নামে আর এক মহিলা পুলিশ অফিসারকে গোরক্ষপুরের বিজেপি নেতা রাধামোহন দাস অগ্রবালের জন্য হেনস্থা হতে হয়েছিল। চেঁচিয়ে তাঁকে এমন হুমকি দেন ওই নেতা, যে চারু কেঁদে ফেলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy