এফ-১৬ এবং এফ-১৮ যুদ্ধবিমান।-ফাইল চিত্র।
ভাল বরাত পেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সাড়া দিতে রাজি আছে মার্কিন অস্ত্রনির্মাতা সংস্থা লকহিড মার্টিন। মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র স্বপ্ন পূরণে এ দেশেই তাদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান তৈরি করতে পারে লকহিড, যদি ভারতের কাছ থেকে অন্তত ১০০টি যুদ্ধবিমান কেনার বরাত পায় মার্কিন অস্ত্রনির্মাতা সংস্থাটি। একই রকমের আগ্রহ দেখিয়েছে আরও কয়েকটি মার্কিন অস্ত্রনির্মাতা সংস্থা।
এ ব্যাপারে ভারত-মার্কিন বিজনেস কাউন্সিলের কাছ থেকে সম্প্রতি একটি চিঠি পেয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সেই চিঠিতে অবশ্য এটাও জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির শর্ত হিসেবে যেহেতু ভারতেরই কোনও সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বে গিয়ে ওই যুদ্ধবিমান বানাতে হবে মার্কিন অস্ত্রনির্মাতা সংস্থাগুলিকে, তাই সেই সব বিমানে কোনও খুঁত থাকলে তার জন্য মার্কিন অস্ত্রনির্মাতারা দায়ী থাকবেন না। কারণ, প্রযুক্তির ব্যাপারে ভারতীয় পার্টনারদের ওপর তাঁদের ততটা ভরসা নেই।
আরও পড়ুন- ট্র্যাক না ছুঁয়ে এই ভাবেই উড়ে যায় বুলেট ট্রেন
আরও পড়ুন- পিয়ংইয়ংকে পাক সাহায্য? তদন্তের দাবি সুষমার
শুধুই লকহিড মার্টিন নয়, বরাত পেলে ভারতেই অত্যাধুনিক এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে আরও একটি মার্কিন সংস্থা ‘বোয়িং’ও। দু’টি মার্কিন সংস্থাই ওই বিমানগুলি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বেচতে চায়।
চিঠিতে জানানো হয়েছে, লকহিড এখন এফ-১৬ যুদ্ধবিমানগুলি বানায় টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থে। মোদী সরকার অন্তত ১০০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বেচার বরাত দিলে লকহিড তাদের টেক্সাসের কারখানাটিকে ভারতেই নিয়ে আসবে। সে ক্ষেত্রে এ দেশে লকহিডের পার্টনার হবে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমস। সেই অংশীদারিত্বে লকহিডের শেয়ার থাকবে ৪৯ শতাংশ। বাকি ৫১ শতাংশ শেয়ার থাকবে টাটা অ্যাডভান্সড সিস্টেমসের।
আরেক মার্কিন অস্ত্রনির্মাতা সংস্থা ‘বোয়িং’ও তাদের বানানো এফ/এ-১৮ সুপার হর্নেট যুদ্ধবিমান বেচতে চাইছে ভারতীয় বিমানবাহিনীকে। তবে ভারতে তাদের ব্যবসার সম্ভাব্য পার্টনারের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তাঁদের কিছু সংশয় রয়েছে। সংস্থার ইন্ডিয়া প্রেসিডেন্ট প্রত্যূষ কুমার বলেছেন, ‘‘অ্যারোস্পেস সেক্টরে ভারতীয় পার্টনারের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে আমরা খুব একটা নিশ্চিত নই। তাই বিষয়টা আমাদের ভাবাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy