ছবি: এপি।
ডোকলাম সঙ্কটের মোকাবিলায় চিনকে ‘ভাতে মারার’ জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে দৌত্য শুরু করল সাউথ ব্লক।
গত মাসে চিনের সঙ্গে মার্কিন বাণিজ্য বৈঠক কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। সূত্রের খবর, বিষয়টি যথেষ্ট উৎসাহিত করেছে সাউথ ব্লককে। ওই বৈঠকে উত্তর কোরিয়া নিয়ে চিনের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। চিনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে চলার বিষয়টিও একেবারেই না-পসন্দ আমেরিকার নতুন সরকারের। ওয়াশিংটন সূত্রে জানানো হয়েছে, চিনের কাছ থেকে ইস্পাত আমদানি বন্ধ করা, চিনের কিছু ব্যাঙ্ককে নিষিদ্ধ করার মতো পদক্ষেপ করতে পারেন ট্রাম্প। ইস্পাত-সহ বেশ কিছু পণ্যে চাহিদার থেকে বেশি উৎপাদন হওয়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে চিনের। তাই, এ-হেন মার্কিন ‘খামখেয়ালিপনা’ যে তাদের সমস্যার মধ্যে ফেলতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে বেজিংয়েরও।
আরও পড়ুন: অপহরণের ধারা জুড়ল, ধৃত বিকাশ
এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে নবনিযুক্ত দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়া বিভাগীয় মার্কিন কর্তা লিজা কার্টিসের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতীয় কর্তারা।
গত কয়েক বছর ধরে ভারত-আমেরিকা জাপানের মধ্যে ইতিমধ্যেই যৌথ নৌ-মহড়া সংক্রান্ত একটি সফল বোঝাপড়া গড়ে উঠেছে। কার্টিসকে ভারতীয় কর্তারা জানান যে, সামরিক মহড়ার পাশাপাশি বৃহত্তর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রেও একটি বহুপাক্ষিক আদানপ্রদানের কাঠামো যদি তৈরি করা যায়, তা হলে তা ফলপ্রসূ হতে পারে। মন্ত্রকসূত্রে দাবি, চিনের নাম না করা হলেও এই পরিকল্পনাটি বেজিংকে অর্থনৈতিক ভাবে কোণঠাসা করার কথা মাথায় রেখেই করা হয়েছে।
কাল বিমস্টেক সম্মেলনে যোগ দিতে কাঠমান্ডু যাচ্ছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। উদ্দেশ্য, বঙ্গোপসাগর এলাকার ৭টি রাষ্ট্রের মধ্যে প্রযুক্তি এবং অর্থনৈতিক লেনদেন তৈরি করা। বিমস্টেকের মাধ্যমে চিনকে কোণঠাসা করাটা নয়াদিল্লির লক্ষ্য থাকলেও কাজটা সহজ নয় বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। কারণ এই দেশগুলির মধ্যে শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমারে বেজিং-এর প্রভাব যথেষ্ট।
আজ অরুণ জেটলিও সুর চড়িয়ে বলেন, ‘‘১৯৬২ থেকে শিক্ষা নিয়ে সেনা অনেক শক্তিশালী হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম সীমান্ত রক্ষা করার ক্ষমতাও আমাদের সেনার রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy