রোটোম্যাক কর্তা বিক্রম কোঠারি। ছবি : ফেসবুক।
শোনা যাচ্ছিল, তিনিও নীরব মোদীর মতো দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও তো উঠেছে ঋণখেলাপির অভিযোগ!
কিন্তু, রবিবার রাতে তাঁকে কানপুরে এক বিয়েবাড়িতে দেখা যায়। এর পরেই সোমবার রোটোম্যাক কর্ণধার বিক্রম কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিবিআই। একই সঙ্গে আটক করা হয়েছে তাঁর স্ত্রী-পুত্রকেও। ব্যাঙ্ক অব বরোদার তরফে করা একটি অভিযেোগের ভিত্তিতেই আটক করা হয়েছে তাঁদের।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে নীরব মোদী এবং তাঁর মামা মেহুল চোক্সীর কোম্পানির কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার এক সপ্তাহের মধ্যেই রোটোম্যাকের ঋণ দুর্নীতি সামনে আসে। অভিযোগ, ইউনিয়ন এবং ইলাহাবাদ-সহ পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে শোধ করেননি রোটোম্যাক কর্ণধার। এর মধ্যে কলকাতার ইলাহাবাদ ব্যাঙ্কের একটি শাখা থেকে ৩৫২ কোটি এবং মুম্বইয়ের ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের একটি শাখা থেকে ৪৮৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। যদিও বাকি তিনটি ব্যাঙ্ক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তা জানা যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে দেশ তোলপাড় হলেও এত দিন অভিযুক্ত বিক্রমের কোনও হদিশ মিলছিল না। তাঁর অফিসও দীর্ঘ দিন ধরে তালাবন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন:
অমিতের পাশে ‘মেহুল’! ছবিতে পাল্টা দিলীপের
এ বার কি ভারত ছেড়েছেন রোটোম্যাক কর্তাও
এর পরেই জল্পনা শুরু হয়, নীরব এবং তাঁর মামা মেহুল চোক্সীর মতো বিক্রমও কি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন? কিন্তু, রবিবার সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন বিক্রম নিজেই। ওই রাতে তাঁকে কানপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে বলে সিবিআই কর্তারা খবর পান। পাশাপাশি, রোটোম্যাক কর্তা নিজেও এক বিবৃতিতে পরিষ্কার করেন, তিনি দেশে তো বটেই, নিজের শহর কানপুরে রয়েছেন। ওই বিবৃতিতে তিনি লেখেন, ‘‘এটা কোনও দুর্নীতি নয়। আমি কোথাও যাইনি। কানপুরেই রয়েছি। ব্যাঙ্ক আমার সংস্থাকে ‘নন পারফর্মিং অ্যাসেট’ (এনপিএ) হিসাবে চিহ্নিত করেছে, কিন্তু আমি ঋণখেলাপি নই। ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রিবিউনাল (এনসিএলটি) অনুসারে বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। আমি নিয়মিত ব্যাঙ্কগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখি এবং তাদের সব রকম সাহায্য করছি। যে ঋণ আমি নিয়েছি খুব তাড়াতাড়ি তা শোধ করে দেব।’’
তাঁর কানপুরে থাকার বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই ওই শহরের বিভিন্ন ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেন সিবিআই কর্তারা। সোমবার ভোর ৪টে নাগাদ কানপুর থেকেই সপরিবার বিক্রমকে আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy