দেশ বদলে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মের প্রত্যাশা মেটাতে তাই তাঁরা সরকার চালানোর চিরাচরিত প্রথা ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন বলে দাবি করলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর মতে, মানুষ এখন অন্য ভাবে ভাবছেন। সে জন্যই তাঁরা সমর্থন করেছেন নোট বাতিলকে। বিরোধীদের কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘নোটবন্দির ফল কী হচ্ছে, তা অনেকে বুঝতেই পারেননি।’’
মুম্বইয়ে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের নামে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পাঁচ রাজ্যে ভোটে বিপুল জয়ের পরে কট্টর হিন্দুত্ববাদী হিসেবে পরিচিত আদিত্যনাথের নির্বাচনে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে মোদী সরকারের অবস্থান নিয়ে। যদিও এ দিনের বক্তৃতায় তিনি ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’-এর মন্ত্রকেই গুরুত্ব দিলেন। বললেন গোটা দেশের উন্নয়নের কথা। বোঝাতে চাইলেন, তাঁর সরকার সমস্ত ভারতবাসীর, বিশেষ করে তরুণদের জন্য কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে দেশে বিশেষ একটি দলের কিংবা নানা রঙের জোট সরকার ছিল। কিন্তু কোনও সরকারই ভোটমুখী বা আমলাতন্ত্রের লাল ফিতেয় বন্দি উন্নয়নের মডেল ছেড়ে বেরোতে পারেনি। কিন্তু গত কয়েক বছরে প্রযুক্তির প্রভূত উন্নতি হয়েছে। ফলে তরুণদের প্রত্যাশা বদলেছে। তাঁর সরকার তাই ওই মডেল থেকে বেরিয়ে এসে অন্য ভাবে কাজ করছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্বচ্ছতা বাড়াচ্ছে। সরকার সব কাজ করে দেবে, এই ভাবনা সরিয়ে মানুষের ক্ষমতায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। এটাই তাঁর ‘নতুন ভারতের’ মূল মন্ত্র।
আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসায় প্রণব মুখোপাধ্যায়
কী ভাবে সরকারি কাজকে বদলাতে চেয়েছেন তিনি?
মোদী জানাচ্ছেন, দেশের কৃষিকাজের উপরে ঋতুচক্রের প্রভাবের কথা মাথায় রেখে বাজেট এগিয়ে এনেছেন তাঁরা। যাতে জুন মাসে বৃষ্টি নামার আগেই কিছু কাজ করতে পারে সরকার। রেল বাজেটকে জোড়া হয়েছে মূল বাজেটের সঙ্গে। কারণ রেলকে আলাদা ভাবে না দেখে গোটা পরিবহণ ক্ষেত্রের অংশ হিসেবে দেখা উচিত। গ্রামে বিদ্যুদয়নের কাজ কতটা হয়েছে তা এখন ইন্টারনেটে দেখতে পারেন যে কেউ।
উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের পরে মোদী ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষপূর্তির আগেই নতুন ভারত গড়ার ডাক দিয়েছিলেন। এ দিন তাঁর আর্জি, ‘‘আমরা যে যেখানেই থাকি, আসুন এই স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy