ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহু এবং মোদী। ছবি: পিটিআই।
‘করমর্দনে’ যদি ট্রাম্প হন, তা হলে ‘আলিঙ্গনে’ অবশ্যই মোদী। কোনও দেশ হোক বা আন্তর্জাতিক মঞ্চ, ট্রাম্পের করমর্দনের সঙ্গে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিয়েছে মোদীর আলিঙ্গন। আর এই আলিঙ্গন-ই মোদীর ‘ট্রেডমার্ক’ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তাঁর আলিঙ্গন নিয়ে আগেও চর্চা হয়েছে। তবে সম্প্রতি ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট নেতানিয়াহুকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে গিয়ে যে আলিঙ্গন করেন, তা যেন রাজনীতির দাঁড়িপাল্লায় অনেকটাই ভারী। কংগ্রেস তো রীতিমতো এই আলিঙ্গন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি মোদীকে।
তবে যে আলিঙ্গন নিয়ে এত হইচই এবং যাঁর আলিঙ্গন নিয়ে এত চর্চা, সেই মোদী কিন্তু এটাকে প্রোটোকল বলতে নারাজ। উল্টে তিনি এক টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বলেন, “আমি সাধারণ মানুষ। প্রোটোকল কী তা জানি না। আর এই সাধারণ মানুষের মুক্ত মানসিকতাকেই সারা বিশ্ব গ্রহণ করেছে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক সহজেই গড়ে উঠেছে।”
আরও পড়ুন: নেতাজির জন্মদিনে ছুটির দাবি, কেন্দ্রকে ফের চিঠি মমতার
বিচারপতি বিদ্রোহের জের, লোয়া মামলা নিজের হাতে নিলেন দীপক মিশ্র
ওই সাক্ষাত্কারে মোদী বলেন, “যদি অন্যদের মতো আমাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত, তা হলে তাঁদের মতোই প্রোটোকল মেনে করমর্দন করতাম বা ডান দিক, বাঁ দিক তাকাতাম। কিন্তু এক জন সাধারণ মানুষ হিসাবে এটাই চেষ্টা করি যাতে আমার দেশের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়।”
যখন তিনি একটা রাজ্যের শাসন ক্ষমতা ছেড়ে দেশের হাল ধরেছেন, প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, গুজরাতের বাইরের জগতকে বোঝার ক্ষমতা নেই— এই বলে তখনও তাঁকে কটাক্ষ করা হয়েছে বলে উষ্মা প্রকাশ করেন মোদী। কী ভাবে বিদেশনীতি সামলাবেন, এ প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে। এর উত্তরও দিয়েছেন তিনি। বলেন, “সমালোচনাটা যথার্থই ছিল, কারণ আমার অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু অভিজ্ঞতা অর্জন করার সুযোগটা তো পেয়েছি!”
বিশ্বের তাবড় তাবড় নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁর কী অনুভূতি? এ প্রশ্ন করা হলে মোদী বলেন, “নরেন্দ্র মোদী নয়, তখন তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকেন ১২৫ কোটি দেশবাসীর প্রতিনিধি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy