কর্নাটকের শক্তি মন্ত্রী ডি কে শিবকুমার।- সংগৃহীত।
একটাই ‘অপরাধ’ ছিল তাঁর। মন্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলতে চেয়েছিলেন। মন্ত্রীর পিছনে দাঁড়িয়ে তারই আবদার করেছিলেন তিনি। ব্যস, তাতেই মেজাজ হারিয়ে ফেললেন মন্ত্রী। ঘুরে গিয়ে সপাটে চড় মারলেন। সামনে সাংবাদিকরা রয়েছেন, ভিডিও ক্যামেরা রয়েছে, মেজাজ হারানোর পর আর কিছুই খেয়াল থাকল না মন্ত্রীর! বিরোধীরা কটাক্ষ করছেন, এত চট করে মেজাজ হারালে মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ দফতর তিনি সামলাবেন কী ভাবে? এ তো একেবারেই ‘শিশুসুলভ’।
কাণ্ডটা ঘটিয়েছেন কর্নাটকের শক্তি মন্ত্রী। ডি কে শিবকুমার। বেলগাঁওয়ে। শিশু অধিকার রক্ষার একটি অনুষ্ঠানে। বেশ কয়েক জন সাংবাদিক ছিলেন সেখানে। মন্ত্রীর দিকে ধেয়ে আসছিল একের পর এক শাণিত প্রশ্নবাণ। গত অগস্টেই তাঁর বাড়িতে আচমকা হানা দিয়ে শিবকুমারের ৩০০ কোটি টাকার ‘অঘোষিত আয়’-এর হদিশ পেয়েছেন আয়কর দফতরের অফিসাররা।
আরও পড়ুন- সীতারমনকে বলে কপ্টার আনালেন অধীর, প্রিয়কে ঘিরে মিলল শাসক-বিরোধী
আরও পড়ুন- তাজমহল নিয়ে সুপ্রিম খোঁচা এ বার যোগীকে
বিরোধীরা বলছেন, এর পর তো মেজাজ একটু বিগড়ে থাকারই কথা মন্ত্রীর! তবে গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রী যখন, তিনি যখন গিয়েছেন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে, সেখানে মন্ত্রী শিবকুমারের এমন আচরণ করাটা কি ঠিক হয়েছে আদৌ? ঘটনাটার সময় মন্ত্রীর হয়তো খেয়াল ছিল না, চালু ছিল ভিডিও ক্যামেরা। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যেতেই নিন্দেমন্দ শুরু হয়েছে।
লোকজন ‘ছি ছি’ করতে শুরু করেছেন দেখে মন্ত্রী দমেননি একটুও। বরং যা বলেছেন, তার নির্যাস— ‘বেশ করেছি, করবই তো’।
শিবকুমারের কথায়, ‘‘একটু কাণ্ডজ্ঞান থাকতে হবে তো! ওই সময় কাজের মধ্যে ছিলাম। কথা বলছিলাম সাংবাদিকদের সঙ্গে। তখন কী ভাবেই বা এক জন আমার সঙ্গে সেলফি তোলার আবদার করেন!’’
তাই বলে, সপাটে চড়? সকলের সামনে?
মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘হতেই পারে।’’
আর আয়কর দফতরের অফিসাররা তাঁর বাড়িতে আচমকা হানা দিয়ে যে ৩০০ কোটি টাকার হদিশ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন, শিবকুমারের কথায়, ‘‘তা হতেই পারে না। আমি অমন লোকই নই। সত্যিটা এক দিন বেরিয়ে আসবেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy