Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

ভোট না মেটা পর্যন্ত সংসদ বসছে না, জানিয়ে দিলেন জেটলি

শীতকালীন অধিবেশন পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই সরগরম জাতীয় রাজনীতি। সরকার চাইছে গুজরাতের ভোট মিটিয়ে অধিবেশনে যেতে। বিরোধীরা তুমুল সমালোচনা করছে সরকারের।

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৭ ২০:৩২
Share: Save:

গুজরাতের ভোট মেটার আগে শীতকালীন অধিবেশন বসছে না সংসদে। বুঝিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বুধবার জানালেন, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন এমন ভাবেই ডাকা হবে যাতে বিধানসভা নির্বাচনের তারিখের সঙ্গে তার কোনও সঙ্ঘাত না হয়। শাসক দল সূত্রের খবর, ১৫ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শীতকালীন অধিবেশন চালানোর কথা ভাবছে সরকার।

গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ ১৪ ডিসেম্বর। ভোট মেটার পরের দিনই যে সংসদের অধিবেশনে যোগ দিতে চাইছে সরকার পক্ষ, সে ইঙ্গিত বেশ স্পষ্ট।

শীতকালীন অধিবেশন পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই সরগরম জাতীয় রাজনীতি। হিমাচল প্রদেশের ভোট মিটে গিয়েছে ঠিকই। কিন্তু গুজরাতের ভোট হওয়া এখনও বাকি, সেই ভোট আরও গুরুত্বপূর্ণ বিজেপির জন্য। ৯ ও ১৪ ডিসেম্বর গুজরাতে ভোটগ্রহণ। ১৮ ডিসেম্বর ভোট গণনা দুই রাজ্যেই। গণনা পর্যন্ত সম্ভবত পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে না অধিবেশন। কিন্তু ভোট মেটার আগে কিছুতেই সংসদে পা রাখতে চাইছে না দেশের শাসক দল। জোরকদমে প্রচারাভিযান চলছে গুজরাতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, দু’জনেরই ঘরের মাঠ গুজরাত। সে রাজ্যে বড় ব্যবধানে জয় ধরে রাখতে না পারলে ধাক্কা লাগবে খোদ মোদী-শাহ জুটির গরিমায়। সম্মানের লড়াইয়ে জয়ী হতে তাই গুজরাতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে বিজেপি। এর মধ্যেই যদি খুলে যায় সংসদ, সময় দেওয়া কঠিন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষে। পাশাপাশি রয়েছে সংসদে ঝড় ওঠার আশঙ্কাও। অমিত শাহের ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, রাফাল চুক্তি সংক্রান্ত বিতর্ক, জিএসটি— একগুচ্ছ বড় ইস্যুতে সরকারকে আক্রমণ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে বিরোধী দলগুলি। গুজরাত ভোটের মাঝে তেমন কোনও অবকাশ তৈরি হোক, বিজেপি তা একেবারেই চাইছে না।

আরও পড়ুন: যে ভাবেই হোক, সমর্থন কংগ্রেসের দিকেই: ঘোষণা করেই দিলেন হার্দিক

শীতকালীন অধিবেশন পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী আগেই তোপ দেগেছিলেন। স্বয়ং মোদী ছিলেন সনিয়ার নিশানায়। মঙ্গলবার সনিয়া বলেন, ‘‘সংসদের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী।’’ রাহুল গাঁধীও টুইটারে খোঁচা দিয়েছেন সরকার পক্ষকে। তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনি লুকিয়ে থাকলে সত্যটা হারিয়ে যাবে না। মোদীজি, লুকোচুরি খেলা বন্ধ করুন এবং সংসদ খুলুন যাতে জাতি শুনতে পায় রাফাল নিয়ে আপনারা কী করেছেন।’’

আরও পড়ুন: মোদীকে নিয়ে কুরুচিকর টুইট মুছে দিল কংগ্রেস

বুধবার অরুণ জেটলি জবাব দিয়েছেন সনিয়া-রাহুলের আক্রমণের। দেশের কোনও রাজ্যে নির্বাচন থাকলে সংসদের অধিবেশন কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়, মন্তব্য জেটলির। ২০১১ সালে সংসদের অধিবেশন পিছিয়ে দিয়েছিল তৎকালীন শাসক দল কংগ্রেস, জানিয়েছেন জেটলি। তার আগেও এমনটা কংগ্রেস করেছে বলে জেটলির দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE