ছবি: সংগৃহীত।
মুম্বই-অমদাবাদ বুলেট করিডর ঘিরে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর সেই কাজে ভারতকে সাহায্যের আশ্বাস দিল জাপান। আর্থিক উন্নয়নই শুধু নয়, সামরিক ও পারমাণবিক ক্ষেত্র-সহ ১৫টি বিষয়ে দিল্লি ও টোকিও এ বার একসাথে এগোবে।
১৯৬৪ সাল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষত তখনও সামলে উঠতে পারেনি জাপান। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কথায়, সে বছরই বুলেট ট্রেন বানানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। করিডর গড়ে ওঠার পরে তাকে ঘিরে শুরু হয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। ভারতেও এ বার বুলেট করিডরকে ঘিরে সে ভাবেই উন্নয়নের পরিকল্পনা করছে দু’দেশ। বুলেট করিডর ছাড়াও ভারতে আরও বিনিয়োগে বাড়াতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। আজ বিদেশসচিব এস জয়শঙ্কর জানান, উত্তর-পূর্বের পরিকাঠামো উন্নয়নে সাহায্যের কথা ভেবে দেখছে টোকিও। স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর-পূর্বে জাপানের এই উপস্থিতি বেজিং ভাল ভাবে নেবে না বলেই মনে করছেন কূটনীতিকরা।
ডোকলাম নিয়ে আড়াই মাস ধরে চিনের সঙ্গে পাঞ্জা কষার পরে শিনজো আবের সফরের দিকে তাকিয়ে ছিল ভারত। কারণ, এশিয়ায় শক্তি সমীকরণের প্রশ্নে চিনকে কোণঠাসা করতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে জোট তৈরি করে চলেছে জাপান। এ বার সামরিক ক্ষেত্রেও ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তারা।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘ভারত ও জাপানের সেনা সমুদ্রপথে একজোট হতো। এ বার সেই পরিধি বাড়িয়ে একসঙ্গে স্থলসেনা ও বায়ুসেনার মহড়া করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’ আবের সফরে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রযুক্তি হস্তান্তর এবং যৌথ উৎপাদনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। অমদাবাদে বুলেট ট্রেনের কাজ শুরুর অনুষ্ঠানে আবে এ দিন বলেন, ‘‘শক্তিশালী ভারত জাপানের জন্য ভাল, আর শক্তিশালী জাপান ভারতের জন্যও।’’ ঠিক হয়েছে, জাপানি কাওয়াসাকি আর ভারতের ভেল প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে বুলেট ট্রেনের কামরা তৈরি করবে।
ভারত ও জাপানের এই সহযোগিতায় বেজিংকে চিন্তায় ফেলবে বলেই মত কূটনীতিকদের। কারণ, এ সবের পাশাপাশি চিনের মহাসড়ক প্রকল্পের পাল্টা এক সুপ্রাচীন সমুদ্রপথকে জাগিয়ে তুলতেও সক্রিয় হয়েছে ভারত ও জাপান। এর আনুষ্ঠানিক নাম ‘এশিয়া আফ্রিকা গ্রোথ করিডর।’ যা ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুক্ত যোগাযোগ তৈরি, বাণিজ্যপথের ব্যবহার বাড়াবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy