Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Triple Talaq

রাগের মাথায় তালাক স্ত্রীকে, ফিরতে চান স্বামী, বাধা প্রতিবেশীদের

মুনিম জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অশান্তির খবর ছড়িয়ে যায় আশপাশের বাড়িগুলিতে। পর দিন সকালে তাঁর স্বামী নিজের ভুল বুঝে ক্ষমা চাইতে এলে বাধা দেন প্রতিবেশীরা। তাদের মতে মুনিম এখন বিবাহবিচ্ছিন্না। তাই স্বামীর পরিচয় সে আর নিতে পারবে না। মুনিমকে তাঁর বাবা মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্যও চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৬:৫১
Share: Save:

রাগের মাথাতেই স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন স্বামী। ‘তালাক, তালাক, তালাক’ তিন বার উচ্চারণও করেছিলেন। কিন্তু ভুল ভাঙল পর দিন সকালে। স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য অনুশোচনা হওয়ায় ফের তাঁকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মুখিয়া স্বামী। কিন্তু বাধ সাধে প্রতিবেশীরা। তাদের কড়া নিদান, তালাক মানেই বিবাহবিচ্ছেদ। অতএব স্বামীর সঙ্গে আর থাকতে পারবে না স্ত্রী। তাঁকে বাঁচতে হবে এক জন অপরিচিতার পরিচয়ে।

আরও পড়ুন: গো-রক্ষকদের তাণ্ডব বন্ধে কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩০ অগস্ট আমদাবাদের জুহাপুরায়। এর ঠিক এক সপ্তাহ আগেই এক নিঃশ্বাসে বলা তিন তালাককে অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। বছর তেইশের মুনিম (নাম পরিবর্তিত) জানিয়েছেন, ওই দিন রাতে তাঁর স্বামী হোজেফা (নাম পরিবর্তিত) মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। তখন বছর ছ’য়েকের ছেলেকে নিয়ে মুনিম গভীর ঘুমে ছিলেন। হোজেফা তাঁর কাছে দেশলাই চান। কিন্তু ঘুমিয়ে থাকার কারণে উঠে দেশলাই দিতে পারেননি তিনি। তাতেই রেগে গিয়ে তাঁকে মারধর শুরু করেন তাঁর স্বামী। তিন বার তালাকও উচ্চারণ করেন। মুনিমের কথায়, ‘‘রাত তখন ১টা। স্বামীর মুখে তালাক শুনে চমকে যাই। তাঁকে বলি, তুমি আমায় মেরে ফেলো, কিন্তু ওই কথা উচ্চারণ কোরো না।’’

আরও পড়ুন: লালু-কন্যার ফার্ম হাউস বাজেয়াপ্ত

মুনিম জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অশান্তির খবর ছড়িয়ে যায় আশপাশের বাড়িগুলিতে। পর দিন সকালে তাঁর স্বামী নিজের ভুল বুঝে ক্ষমা চাইতে এলে বাধা দেন প্রতিবেশীরা। তাদের মতে মুনিম এখন বিবাহবিচ্ছিন্না। তাই স্বামীর পরিচয় সে আর নিতে পারবে না। মুনিমকে তাঁর বাবা মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্যও চাপ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মুনিমের কথায়, তাঁকে ‘ইদ্দত’ পালনের জন্যও নিদান দেন প্রতিবেশিরা। এই প্রথায় স্বামীর মৃত্যু হলে বা তালাক দেওয়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্ত্রীকে অপেক্ষা করতে হয়। ইদ্দতের সময় শেষ হলে ফের বিয়ে করতে পারেন স্ত্রী। মানবাধিকার কর্মী নুরজাহান দেওয়ান জানিয়েছেন, ওই দম্পতির সঙ্গে কথা বলে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ব্যাপারে তাঁদের বিষদে জানানো হয়েছে। নারীদের অধিকার রক্ষায় দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ করছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘মুনিমকে তাঁর স্বামীর কাছে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। তবে তাঁদের আশপাশের মানুষদের এই আচরণ নিন্দার যোগ্য।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE