Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কেশরীকে নিয়ে অস্বস্তি যোগীর

বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আগামী দিনে কেশরীনাথের পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে সফর না করাই উচিত বলে মনে করছে যোগী প্রশাসনের একাংশ।

যোগী আদিত্যনাথ।

যোগী আদিত্যনাথ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:১২
Share: Save:

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীকে নিয়ে অস্বস্তিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।

রাজনীতির পাশাপাশি ইলাহাবাদ হাইকোর্টে ওকালতির সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত ছিলেন কেশরীনাথ। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে মেরঠের চৌধরি চরণ সিংহ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়। একদা ইলাহাবাদ হাইকোর্টের এই আইনজীবী আসবেন জেনেই পথে নামেন মেরঠের আইনজীবীদের একাংশ। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ লাঠি চালালে গুরুতর আহত হন একাধিক আইনজীবী। বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আগামী দিনে কেশরীনাথের পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে সফর না করাই উচিত বলে মনে করছে যোগী প্রশাসনের একাংশ।

কেশরীকে ঘিরে বিক্ষোভ কেন? আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, ত্রিপুরার মতো ছোট রাজ্যেরও হাইকোর্ট আছে। কিন্তু পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ২৬টি জেলায় ৯ কোটি মানুষ বাস করলেও তাঁদের জন্য হাইকোর্টের কোনও বেঞ্চ নেই। বিচার পেতে ছুটতে হয় ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। তাই দীর্ঘ দিন ধরে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে অন্তত এক বিচারপতির একটি বেঞ্চ গড়ার জন্য আবেদন করে আসছেন স্থানীয়রা।

আইনজীবীদের একাংশের অভিযোগ, মায়াবতী মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৯৫-৯৬ সালে বেঞ্চ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিলেও হাইকোর্টের আইনজীবীদের একাংশ প্রভাব খাটিয়ে তা ঠেকিয়ে দেয়। তাঁদের আক্ষেপ, বিচারপতি যশোবন্ত সিংহ কমিশনের সুপারিশ মেনে মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে বেঞ্চ গঠন হয়। বঞ্চিত হয় কেবল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ। কেশরীনাথ ত্রিপাঠী সেই হাইকোর্টের এক সময়কার আইনজীবী হওয়ায় তাঁকে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসলে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেই বার্তা দিতে চাইছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE