এক দিকে সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রতিক্রিয়া, ‘‘পদ্মাবত নিয়ে রায় সবাইকেই মেনে চলতে হবে’’। অন্য দিকে দেখব না, দেখতেও দেব না— এই গোঁ ছেড়ে পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভন্সালীর ডাকে ‘পদ্মাবত’ সিনেমাটি দেখলেন করণী সেনার কর্তারা। সূত্রের দাবি, সিনেমা দেখে তাঁদের রায়, ‘‘এই ছবি দেখাতে কোনও বাধা নেই!’’ ফলে ‘পদ্মাবত’ নিয়ে অনেকটাই আশার আলো দেখছেন পরিচালক-প্রযোজক-সিনেমাপ্রেমীরা। তার মধ্যেও অবশ্য এ দিনই রাতে অমদাবাদে একদল লোক ভাঙচুর করল সিনেমা হল। অভিযোগ, এরা সকলেই করণী সেনার সদস্য!
এই করণী সেনার প্রতিবাদেই গত কয়েক সপ্তাহ জুড়ে হইচই, ভাঙচুর, আত্মহত্যার হুমকি, খুনের ভয় দেখানো, শীর্ষ আদালতে দৌড়োদৌড়ি— কী হয়নি! করণী সেনার সঙ্গে যোগ দেয় কয়েকটি রাজপুত সংগঠনও। অভিযোগ, এগুলি সবই সঙ্ঘের মদতে পুষ্ট। প্রতিবাদের ঠেলায় ‘পদ্মাবতী’র নাম বদলে ‘পদ্মাবত’ করতে বাধ্য হন সিনেমা-নির্মাতারা। তার পরেও বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি সিনেমাটি দেখানো নিয়ে আপত্তি জানায়। মুক্তির এক সপ্তাহ আগে সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়ার পরেও বিতর্ক পিছু ছাড়েনি। এর মুক্তি আটকাতে গত কাল ফের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান। কিন্তু শীর্ষ আদালত আজ দুই রাজ্যের আবেদন খারিজ করে রীতিমতো ভর্ৎসনা করে জানিয়ে দিল, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানেও দেখাতে হবে পদ্মাবত।
গত কাল দুই রাজ্য ‘পদ্মাবত’এর মুক্তি আটকাতে চেয়ে দ্বারস্থ হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টের। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটা একটা আদেশ। তাই এটা মেনে নেওয়াই ভাল। আপনারা মানুষকে ওই ছবিটা না দেখার পরামর্শ দিতে পারেন। কিন্তু কোর্টের নির্দেশ মেনে, নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা ও আইন-কানুন বজায় রাখার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্যকেই। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, ‘‘আমরা যে নির্দেশ দিয়েছি, তা সকলকে মেনে নিতে হবে। ১০০ বা ২০০ মানুষ রাস্তায় নেমে কোনও ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা চাইতে পারেন না। এটা অভাবনীয়।’’
রায়ের পরে করণী সেনার প্রধান লোকেন্দ্র সিংহ কালভির বক্তব্য, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট মানুষের আবেগের মান রাখেনি জেনে খুব আশাহত হলাম।’’
রাতে করণী সেনা-কর্তাদের কয়েক জন ‘পদ্মাবত’ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করার পরে করণী সেনা কী করে, দেখার সেটাই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy