ছবি: সংগৃহীত।
সহকর্মীকে বহু দিন ধরেই উত্যক্ত করছিল যুবকটি। বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল। কিন্তু, তাতে রাজি না হওয়ায় ওই সহকর্মী তরুণীকে খুন করল সে। হায়দরাবাদের এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিক ভুজঙ্গ রাও বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, মৃতের নাম জানকী (২৪)। আদতে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। তিন বছর আগেই কাজের খোঁজে হায়দরাবাদে এসেছিলেন। মুসাপেট এলাকায় একটি ভাড়াবাড়িতে রূপা নামে এক তরুণীর সঙ্গে থাকতেন।
হায়দরাবাদে আসার কিছু দিন পর কুটাকপাল্লি এলাকায় একটি স্থানীয় সুপারমার্কেটে কাজও পেয়ে যান। সেখানেই তাঁর সঙ্গে কাজ করত আনন্দ নামে এক যুবক। অভিযোগ, মাস ছয়েক ধরেই জানকীকে উত্যক্ত করত আনন্দ অনন্থাপ্পা। এ নিয়ে ওই সুপারমার্কেটের অন্য কর্মীদের কাছে নালিশও করেছিলেন জানকী। সুপারমার্কেটের কর্মীরাই পুলিশকে জানিয়েছেন, জানকীকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল আনন্দ। তবে সে প্রস্তাবে কখনওই রাজি হননি জানকী।
আরও পড়ুন
বনগাঁয় গলার নলি কেটে খুন শাশুড়িকে
মঙ্গলবার রাতে কাজের শেষে মুসাপেটের ভাড়াবাড়িতে ফেরেন জানকী। সে সময় বাড়িতে রূপা ছিলেন না। জানকীর প্রতিবেশীদের দাবি, রাতে সেখানে আসে আনন্দ। তাদের মধ্যে তুমুল ঝগড়াঝাটি হয়। বেশ কিছু ক্ষণ পর বাড়িতে ফিরে এসে রূপা দেখেন, বেহুঁশ হয়ে পড়ে রয়েছেন জানকী। রক্তে ভেসে যাচ্ছে দেহ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকেরা। পুলিশের কাছে রূপা জানিয়েছেন, পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ছিলেন জানকী।
আরও পড়ুন
সিগারেট পেপার না দেওয়ায় মার, লন্ডনে মৃত্যু ভারতীয় বংশোদ্ভূতের!
সম্পাদক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা আপনার ইনবক্সে পেতে চান? সাবস্ক্রাইব করতে ক্লিক করুন
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঝগড়াঝাটির সময় জানকীর শ্বাসরোধ করে আনন্দ। তাঁর তলপেটে সব্জি কাটার ছুরি দিয়ে বার তিনেক আঘাতও করেন। জানকীকে খুনের অভিযোগে আনন্দকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy